কলকাতা : ২৭ অগাস্ট আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে 'নবান্ন অভিযান'-এর ডাক দিয়েছিল 'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ'। সেই অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে কলকাতা ও হাওড়া। নবান্ন অভিযানের মাধ্যমে বড়সড় অশান্তির ছক পাকিয়েছে বিরোধীরা, অভিযোগ ছিল তৃণমূল শিবিরের। আর তারপর নবান্নকে নিরাপত্তার কড়া বেষ্টনীতে ঘিরে ফেলে পুলিশ, ব়্যাফ, কমব্যাট ফোর্স। সেদিন সেই প্রতিরোধ ভেঙে নবান্ন অভিমুখে কীভাবে এগোতে থাকেন আন্দোলনকারীরা, সে দৃশ্য দেখেছে গোটা বাংলা। 


এদিনই আয়োজক সংগঠনের অন্যতম নেতা সায়ন লাহিড়িকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবিপি আনন্দ-র ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে হাজির ছিলেন সায়ন। সেদিন অনুষ্ঠান সেরে বের হতেই  গ্রেফতার করা হয় সায়নকে। এইভাবে তড়িঘড়ি করে তাঁকে ধরা অনৈতিক বলে দাবি করে হাইকোর্টের স্বার্থ হয়েছেন ছাত্রসমাজ-নেতা। তাঁকে  গ্রেফতারের সময় আইনের ন্যূনতম নিয়মও মানা হয়নি বলে অভিযোগ। একপ্রকার তাঁকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, অভিযোগ আইনজীবীর। 


লালবাজারের অভিযোগ মিথ্যা, দাবি সায়নের। তাঁর আইনজীবীর দাবি, এই গ্রেফতারির ক্ষেত্রে পুলিশের অতি সক্রিয়তা চোখে পড়েছে। কলকাতা পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিংহা অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করুন, চান তাঁরা । সেই সঙ্গে দাবি, সায়ন লাহিড়িকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক। অন্যদিকে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় সায়নের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।  


সায়নের অভিযোগ, গ্রেফতারির ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়াই মানেনি পুলিশ। তিনি দাগী আসামি নন, তাঁর বিরুদ্ধে পূর্বের কোনও গুরুতর অভিযোগ নেই, তাই এভাবে পুলিশ অতিসক্রিয় হয়ে কেন তাঁকে গ্রেফতার করল , তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি ও তাঁর আইনজীবী। কোন জরুরি পরিস্থিতিতে তাঁকে এভাবে গ্রেফতার করা হল, জানতে চাইছেন সায়নের আইনজীবী। 


গত রবিবার পুলিশের তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখানো হয়, পাঁচতারা হোটেলে প্রবেশ করতে করছেন সায়ন। পুলিশের দাবি, ওই হোটেলে গিয়েই কোনও রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তারপর সেই ঘটনাকে সামনে রেখেই, অশান্তি পাকানোর চেষ্টার অভিযোগ এনে সায়নকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: RG Kar Viral Audio Clip: ছিটেফোঁটা সমবেদনাও নেই গলায়, এভাবে দুঃসংবাদ দেয় কেউ? RG কর ভাইরাল অডিও নিয়ে প্রশ্ন মনোবিদদের