সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : প্রথমে জরিমানা। এবার ডাবল জরিমানা ! ৬ বছরেও পরীক্ষার ফল না জানানোয় এবার ডবল জরিমানার কোপে মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। এর আগে তাঁকে ২ লক্ষ টাকা এবং আজ ২ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ আদালতের। দুই মিলিয়ে মানিককে মোট ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। জরিমানার যে টাকা তাঁকে দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত (Calcutta High Court)।


প্রথম জরিমানার ভিত্তিতে মানিক ভট্টাচার্যর পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে অতিরিক্ত ২ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্যকে দ্রুত ৪ লক্ষ টাকার জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)।


আরও পড়ুন- 'পনির ছাড়াই পনির মশালা রান্না করতে চাইছে সিবিআই', আদালতে ফের প্রশ্নের মুখে সিবিআই


গত ১৬ জানুয়ারি, এক পরীক্ষার্থীর করা মামলায় জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্যকে ২ লক্ষ টাকার জরিমানা করেছিল আদালত। মামলাকারী মালারানি পালের অভিযোগ ছিল, ৮ বছর ধরেও তিনি ২০১৪ সালের টেটের ফল জানতে পারেননি। সেই মামলায় ১৫ দিনের মধ্যে, মানিক ভট্টাচার্যকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। যে মামলাতেই আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। যার ভিত্তিতেই এবার ডাবল জরিমানা করা হল তাঁর।


উল্লেখ্য, একের পর এক অনিয়মের অভিযোগে জড়িয়েছে তাঁর নাম। এই প্রেক্ষাপটেই, ফের কলকাতা হাইকোর্টের জরিমানার মুখে পড়লেন মানিক ভট্টাচার্য। ২০১৪-র টেট পরীক্ষার্থীর পরে ২০১৭-র টেট পরীক্ষার্থীর করা মামলাতেও জরিমানা হয়েছিল তাঁর।


মাঝে অন্য একটি মামলাতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য-র লন্ডনের বাড়ি প্রসঙ্গেও। তিনি বলেছিলেন, 'লজ্জায় বিষয় এটাই যে, তিনি এখনও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি। দিদি সামলাতে পারছেন না একা। এত দুর্বৃত্ত চারপাশে থাকলে সামলাবেন কী করে?' প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। কিছু সূত্র তাঁরা পেয়েছেন, আদালতে জানাল সিবিআই। এরপরই বিচারপতি বলেন, 'লন্ডনে মানিক ভট্টাচার্যর বাড়ির ঠিকানা জানেন?' লন্ডনে মানিকের বাড়ির পাশে কার বাড়ি জানেন? আমি জানি।' এবিষয়ে তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "দুটো বৈধ পাসপোর্ট কারোর হতে পারে না। দেখতে হবে কী করে এটা হয়ে গেল। এটা তদন্তের বিষয়। এখানে রাজনীতির কোনও জায়গা নেই।''