প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : আদালতে (Court) ফের প্রশ্নের মুখে সিবিআই (CBI)। পনির ছাড়াই পনির মশালা রান্না করতে চাইছে সিবিআই, মন্তব্য বিচারকের। 'চাকরি বিক্রির টাকার ভাগ গিয়েছে এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টার কাছে, কেস ডায়েরিতে নাম রয়েছে এসপি সিন্হার, তবু কেন হেফাজতে চাইছে না সিবিআই', প্রশ্ন তুললেন বিচারক। পাল্টা প্রয়োজনীয় তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চলছে, দাবি সিবিআইয়ের আইনজীবীর (Lawyer)।


৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা আলি ইমাম নিয়েছে বেআইনি চাকরির নামে, দাবি সিবিআই-এর। টাকা কোথায় গেল, কার থেকে নেওয়া হল সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অভিযুক্তদের হেফাজতে নিতে আবেদন সিবিআই-এর। ১ জন নন, ৩ জন গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করাতে চান, আবেদন আইনজীবীর। শাহিদ ইমাম, আলি ইমাম, কৌশিক ঘোষ গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করাতে চান, আবেদন জমা দিতে সিবিআই-কে নির্দেশ বিচারকের। আলিপুর আদালতে শুনানির মাঝে গোটা ঘটনাক্রম।


টাকা কোন কোন প্রভাবশালীর কাছে পৌঁছেছে তা খুঁজে বার করা হচ্ছে, দাবি সিবিআইয়ের। শুনানির পর ফের হেফাজতে তাপস-কুন্তল-নীলাদ্রি-শাহিদ ইমাম-সহ ৭ জন।
তাপস, কুন্তল, নীলাদ্রির ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ । অন্য চারজনের ২ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ। আদালতে কুন্তল-তাপস-নীলাদ্রিকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পরিকল্পনা সিবিআই-এর। 


আরও পড়ুন- নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীর বাড়িতে CBI তল্লাশি


প্রসঙ্গত, উপেন বিশ্বাস বর্ণিত বাগদার 'সৎ রঞ্জন' ওরফে চন্দন মণ্ডলকে গ্রেফতারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয়, নীলাদ্রি ঘোষকেও। CBI-এর দাবি, তদন্তে সহযোগিতা করলেও, নিজের বিষয়ে তথ্য লুকোচ্ছিলেন তাপস মণ্ডল। নিজের উপর থেকে দায় ঝাড়ার চেষ্টা করছিলেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, তাপস মণ্ডলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও লেনদেন সংক্রান্ত নথি দেখে বোঝা গেছে মিথ্য়ে বলছেন তিনি।


প্রামাণ্য নথি এবং পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণের সঙ্গেও বয়ানে ফারাক রয়েছে তাপস মণ্ডলের। এমনকি, তদন্তকেও বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এই তাপস মণ্ডলের মুখেই প্রথম কুন্তল ঘোষের নাম শোনা যায়। এরপরই কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তোলেন কুন্তলও।  গ্রেফতারির পরে তাপস মণ্ডল বলেন, 'কেন করল জানি না। কেন করল বুঝতে পারছি না। সহযোগিতা এখনও করছি। আমি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছি। এখন সে তো করবেই।'