সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: বই-উধাওয়ে (text book mystery) জড়িত এসআই (SI)? ইসলামপুরের (islampur) শিক্ষা দফতরের (Education Department) গোডাউনে (warehouse) থেকে লক্ষাধিক সরকারি পাঠ্যবই উধাওয়ের ঘটনায় নতুন মোড়। ধৃত (arrested)অস্থায়ী স্টোর কিপারের দাবি, ঘটনায় জড়িত অবর স্কুল পরিদর্শক। যদিও এনিয়ে মুখ খুলতে চাননি ওই স্কুল পরিদর্শক।


কী ঘটেছিল?
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের গোডাউন থেকে উধাও হয়ে গেল ২ লক্ষ বই! সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হল ধৃত অস্থায়ী স্টোর কিপারকে! তবে শনিবার সকালে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন ধৃত ভীম বর্মন। তাঁর দাবি, গোডাউনের চাবি থাকত অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক-সহ আরও ২ জনের কাছে। সূত্রের খবর, রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে নিম্ন প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত সরকারি পাঠ্যবই জেলায় জেলায় পাঠানো হয়েছিল। ইসলামপুর মহকুমায় পাঠানো হয় প্রায় ২লক্ষ ১৫ হাজার বই। বুধবার, শিক্ষা দফতর থেকে বই সংগ্রহ করেন স্টোরের দায়িত্বে থাকা অস্থায়ী কর্মী ভীম মণ্ডল। ২ জানুয়ারি থেকে স্কুলে স্কুলে বইগুলি বিতরণের নির্দেশ পেয়ে পরিদর্শনে যান জেলার অবর স্কুল পরিদর্শক। কিন্তু স্টোর খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ! কয়েকদিন আগেই পাঠানো ২ লক্ষের বেশি বই উধাও হয়ে গিয়েছে। পরিদর্শকের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অস্থায়ী স্টোর কিপারকে। বার স্কুল পরিদর্শকের দিকেই আঙুল তুললেন অভিযুক্ত স্টোর কিপার। যদিও এনিয়ে মন্তব্য করতে চাননি স্কুল পরিদর্শক।


প্রতিক্রিয়া 'নো কমেন্টস'...
ইসলামপুরের অবর স্কুল পরিদর্শক শুভঙ্কর নন্দীকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন, 'নো কমেন্টস্, নো কমেন্টস।' শনিবার ইসলামপুরে গিয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরের গোডাউন ঘুরে দেখেন জেলা স্কুল পরিদর্শক দুলাল সরকার। তাঁর কথায়, 'সরকারি পাঠ্যবই উধাও এর ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। জানুয়ারি থেকে সরকারি পাঠ্যবই স্কুলে স্কুলে বিতরণ করার কথা ছিল। সমস্যায় পড়েছি।' পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতকে জেরা করে আরও কেউ জড়িত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই গত কাল উত্তর দিনাজপুরের এবিপিটিএ-র সদস্য রঘুপতি মুখোপাধ্যায় বলেন, 'পাঠ্যবই উধাওয়ের ঘটনা সংগঠিত অপরাধ করা হয়েছে। ২০১৯ সালে এই প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের গোডাউনে আগুনে ভস্মীভূত হয়েছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও তদন্তের শেষ হয়নি। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া জরুরি।'     


আরও পড়ুন:মৃত্যুশয্যায় পেলে? দাবি ব্রাজিলের প্রথম সারির সংবাদপত্রের, উদ্বেগে ভক্তরা