কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, সমীরণ পাল ও রঞ্জিত সাউ: পাড়ায় শিক্ষালয় (Paray Shikshalay) প্রকল্পের মহড়াতেও উঠল স্কুল খোলার দাবি। ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে পাড়ায় শিক্ষালয়। স্কুল খোলার নির্দিষ্ট সময়সীমা এখনও জানাতে পারেনি সরকার। এরই মধ্যে স্কুল খোলার দাবি (School Reopen), আন্দোলন জোরালো হচ্ছে। সেই দাবি উঠল এবার খাস কলকাতায় (Kolkata) অভিভাবকদের মুখেই।
শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হচ্ছে পাড়ায় শিক্ষালয়। রাজ্যের ৫০ হাজার ১৫৯টি প্রাথমিক স্কুল ও ১৫ হাজার ৫৯৯টি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের ৬০ লক্ষ ৫২ হাজার ৬৮২ জন ছাত্র-ছাত্রী আসবে এই পাড়ায় শিক্ষালয় প্রকল্পের আওতায়। পঠনপাঠন ছাড়াও গণিতচর্চা, সাংস্কৃতিক পাঠ্যক্রম দেওয়া হবে খোলা আকাশের নীচে। পড়াবেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক, পার্শ্বশিক্ষক ও শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের সহায়করা। এই ঘোষণার পরদিনই তার মহড়া দেখা গেল শহরে। এলাকার অভিভাবকরা সেখানে হাজির হয়ে কার্যত ক্লাস করার ঢঙে শুনলেন শিক্ষকের বক্তব্য।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে সরকারি প্রকল্পের মহড়াতেই উঠল স্কুল খোলার দাবি। অভিভাবকরা বলছেন, “স্কুলটাই ভাল, স্কুল খুলুক।’’ শুধু অভিভাবক মহলে নয়, স্কুল খোলার দাবি উঠেছে রাজনৈতিক মহলেও। করোনা সংক্রমণের ওপর নজর রেখে সরকার ধাপে ধাপে স্কুল খুলতে চায়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সোমবার একথা জানালেও, স্কুল খোলার সুনির্দিষ্ট সময়সীমা জানাননি। সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসু বলেন, “পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নিয়ে স্কুল খুলতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী, আমরাও স্কুল খোলার পক্ষে, পুরো স্কুল ধাপে ধাপে খুলতে চাইছি, এটা মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন।’’
করোনা আবহে স্কুল খোলার আগে সরকার যে পর্যালোচনা চায় তার ইঙ্গিত মিলেছে সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্যে। তৃণমূল সাংসদ বলেন, “স্কুল খুললে করোনা হলে কী হবে, বিশেষজ্ঞরা বলুক, আলোচনা করে সিদ্ধান্ত।’’ যদিও স্কুল খোলা ও ক্লাস করার দাবি আরও জোরাল হচ্ছে রাজ্যজুড়ে। পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকেই অফলাইনে ক্লাস চেয়ে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চর শিক্ষকরা এদিন বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান। এমনকি শ্যামনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জ উত্তর ২৪ পরগনার ৫টি জায়গায় নিজে থেকেই খোলা আকাশের নিচে ক্লাস শুরু করেছেন শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন: Alipurduar: বিয়ের পিঁড়িতে বসেও স্কুল খোলার আর্জি শিক্ষকের, বরমাল্যর সঙ্গে রইল প্ল্যাকার্ড