কলকাতা: হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে প্রিয়ঙ্কা সাউকে (Priyanka Sau) চাকরির সুপারিশ পত্র দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ১ মাসের মধ্যে প্রিয়ঙ্কাকে নিয়োগ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগপত্র হাতে পেলে বাঘাযতীন বালিকা বিদ্যালয়ে ইংরেজির শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেবেন, জানিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা।


প্রিয়ঙ্কা সাউকে চাকরির সুপারিশ পত্র: ববিতা সরকারের পর এবার প্রিয়ঙ্কা সাউ। হাইকোর্টের নির্দেশে স্বপ্নপূরণের পথে আরও এক চাকরিপ্রার্থী। সেপ্টেম্বরে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ১ মাসের মধ্যে চাকরি দিতে হবে। সেই মতো চাকরির সুপারিশ পত্র পেলেন কলকাতার চাকরিপ্রার্থী প্রিয়ঙ্কা সাউ।  তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে কর্মক্ষেত্র বেছে নেওয়ার জন্য ৪টি স্কুলের অপশন দেওয়া হয়। তার মধ্যে বাঘাযতীন বালিকা বিদ্যালয় বেছে নেন তিনি। নিয়োগপত্র পেলে, সেখানেই ইংরেজির শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেবেন।


মামলাকারী চাকরিপ্রার্থী প্রিয়ঙ্কা সাউ বলেন, “গত ২০ তারিখে আমি রেকমেন্ডেশন পেয়েছি। এবং আমাকে ৪টি স্কুলের অপশন দেওয়া হয়েছিল। কলকাতা ডিস্ট্রিক্টের মধ্যে। কোর্টের অর্ডার ছিল, সেই অর্ডার অনুযায়ী। তো সেখানে আমি বাঘাযতীন বালিকা বিদ্যালয়টা চুজ করেছি, জয়েন করার জন্য। ইলেভেন-টুয়েলভের ইংরেজির শিক্ষিকা হিসেবে। আমি ওখানেই জয়েন করব। গার্লস স্কুল। সেটার রেকমেন্ডেশন লেটারটা পেয়েছি, তবে অ্যাপোয়েন্টমেন্ট লেটারটা যেটা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে ইস্যু হবে ৩ তারিখের পর সম্ভবত ওনারা অ্যাপোয়েন্টমেন্ট লেটারটা দেবেন। এবং তারপর আমি স্কুলে গিয়ে জয়েন করব।’’


২০১৬ সালের SLST’র চাকরিপ্রার্থী প্রিয়ঙ্কা সাউয়ের দাবি, একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগে দুটি ক্যাটিগরি হয়। একটি হয় মহিলা-পুরুষ উভয়ের জন্য। অন্যটি, শুধু মহিলাদের জন্য। প্রিয়ঙ্কাকে শুধু মহিলাদের ক্যাটিগরিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, মহিলা-পুরুষ উভয় ক্যাটিগরিতে যিনি চাকরি পেয়েছেন, তিনি তাঁর থেকে কম নম্বর পেয়েছেন। এই অভিযোগেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন চাকরিপ্রার্থী।


মামলাকারী চাকরিপ্রার্থী প্রিয়ঙ্কা সাউ বলেন, “২০১৬ সালে SLST’র একজন ক্যান্ডিডেট ছিলাম আমি ইংলিশের। ফার্স্ট তো প্রচুর ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে, ওয়েট লিস্টেড কেন জানতাম না। কোর্টের নির্দেশে যখন মেরিট লিস্ট প্রকাশ করল, তখন ২টো যে ক্যাটিগরি মার্কস অনুযায়ী দু’টোতেই আমার থাকার কথা। কিন্তু আমার নামটা শুধু ফিমেল ক্যাটিগরিতে ছিল। মেল-ফিমেল ক্যাটিগরি থেকে ডাক পাইনি। আমার থেকে কম নম্বর পাওয়া একটি ছেলে কাউন্সিলিং-এ ডাক পায় ও নিয়োগ হয়। আমি কেন বঞ্চিত? এটাই অভিযোগ ছিল। কোর্ট দেখে। তিনটে মার্কস মিলিয়ে হওয়ার কথা। কোর্টের নির্দেশে অনেকটাই এগিয়েছি।’’


অতীতে, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি খারিজের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর জায়গায় চাকরি পান শিলিগুড়ির ববিতা সরকার। এবার দীপাবলির মুখে হাসি ফুটল আরও এক চাকরিপ্রার্থীর।  


আরও পড়ুন: TET Agitation: ৫৮৮ দিনে পড়ল তাঁদের ধর্না-অবস্থান, দাবিতে অনড় চাকরিপ্রার্থীরা