শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : জ্বর এসেছে? তাহলে আর একটুও দেরি নয়। এখনই যান ডাক্তারের কাছে। কোচবিহারের বাসিন্দাদের এমনটাই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তার কারণ, উত্তরবঙ্গের এই জেলায় উদ্বেগ বাড়িয়ে হাজির স্ক্রাব টাইফাস। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর,
চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্তের ৬০-এর কাছাকাছি।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর,
- গত বছর স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪।
- এবার প্রথম ৫ মাসেই, সংখ্যাটা প্রায় ১৫ গুণ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে, বেশি পরীক্ষার কথাই বলছেন জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা।
গত বছর ৪০জনের পরীক্ষা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে এবার পরীক্ষা হয়েছে ৮০০। আগে শুধুমাত্র কোচবিহার MJN মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষা হলেও, এখন মাথাভাঙা ও তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালেও পরীক্ষা হচ্ছে। এই অবস্থায় কীভাবে রোগ নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত বিশ্বাস জানালেন, জ্বর বা ঘা হলে সঙ্গে সঙ্গে যেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রম্বিকিউলিড মাইটস নামে এক ধরনের পোকার কামড়ে শরীরে ঢোকে স্ক্রাব টাইফাস ব্যাকটেরিয়া। যে রোগের প্রাথমিক উপসর্গই হল জ্বর।
এই রোগের মূল লক্ষণগুলি কী কী?
সাধারণ জ্বরের মতোই এই রোগেও যে লক্ষণগুলি দেখা যায়, সেগুলি হল -
- গা-হাত-পায়ে ব্যথা
- শরীরে পোকা কামড়ানোর দাগ পাওয়া যায়
- মাথা ব্যথা
- টানা জ্বর
- লো ব্লাড প্রেশার
- কোনও কোনও ক্ষেত্রে সর্দি
- সারা শরীরে র্যাশ
- পেটের সমস্যা
চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গি যেমন এডিস মশার কামড়ে হয়, তেমনই ট্রম্বিকিউলিড মাইটস নামে এক ধরনের পোকার কামড়ে শরীরে ঢোকে স্ক্রাব টাইফাস ব্যাকটিরিয়া! প্রথমেই ধরা পড়লে স্ক্রাব টাইফাসের দ্রুত মোকাবিলা সম্ভব। রোগ নির্ণয়ে দেরি হলেই প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে স্ক্রাব টাইফাস।