অর্ণব মুখোপাধ্যায়, সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : মঙ্গলবার কোচবিহারের পর বুধবার ফের দুর্ঘটনার মুখে রেল, এই বাংলাতেই। এবার শিয়ালদা স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা নৈহাটি লোকালে লেগে গেল আগুন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্টেশনে উপস্থিত যাত্রীদের মধ্যে।
তখনও ভোরের আলো ফোটেনি। কিন্তু এ সময়টাও শিয়ালদা স্টেশন মোটেই শুনশান থাকে না। প্রথম লোকালে চেপেই কাজে রওনা দেন বহু যাত্রী। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, ভোর ৪টে ৮ মিনিটে শিয়ালদা স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিল আপ নৈহাটি লোকাল। হঠাৎই দেখা যায় আগুন। প্রথম কামরার ওপরে প্যান্টোগ্রাফ, ওভারহেড তার স্পর্শ করতেই আগুনের ফুলকি দেখা যায়। হইহই করে ওঠেন উপস্থিত রেলকর্মীরা। বিপদ এড়াতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় সঙ্গে সঙ্গেই।
সৌভাগ্যের বিষয়, কামরায় কোনও যাত্রী ছিলেন না। তাই বড়সড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়। এরপর ট্রেনটিকে নিয়ে যাওয়া হয় কারশেডে। বিকল্প EMU রেক আনার পর, ৪টে ১৯ মিনিটে রওনা দেয় সকালের প্রথম নৈহাটি লোকাল। প্রতিদিনের মতোই সেই লোকালে ছিলেন নিত্যযাত্রীরা। ভোর হতে না হতেই এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে।
মঙ্গলবারই উত্তরবঙ্গে একটি রেল দুর্ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। কোচবিহারে বামনহাট স্টেশনে ট্রেনের সঙ্গে জোড়ার সময় সজোরে ধাক্কা মারে ইঞ্জিন। ছিটকে পড়ে আহত হন শিলিগুড়িগামী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। ট্রেনের কামরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনায় ফের একবার রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন, তবে বড় কোনও দুর্ঘটনা নয়, জানিয়েছে রেল।
কিন্তু প্রশ্ন, গত দুই বছরে সারা দেশে একের পর এক রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যেও ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। তারই মধ্যে এই দুর্ঘটনাগুলি রেলের যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।