আবির দত্ত, কলকাতা: পুজোর শহরে ফের বেপরোয়া বাস। দশমীর রাতে শিয়ালদায় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক তরুণীর। আহত হয়েছেন আরও চারজন। পুলিশ সূত্রে খবর, 46 নম্বর রুটের একটি বাস অন্য একটি বাসের সঙ্গে রেষারেষি করতে গিয়ে পরপর ৫ জনকে ধাক্কা মারে। মৃত্যু হয় এক তরুণীর। আরও চারজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ বাস চালক সহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। 


পুজোর শহরে বেপরোয়া বাসের দৌরাত্ম্য! শিয়ালদা ফ্লাইওভারের ওপর, রেষারেষির করতে গিয়ে, পরপর পথচারীদের ধাক্কা মারল যাত্রীবাহী বাস। মৃত্যু হল ৩ জনের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে আরও ৩ জন। ঘাতক বাসের চালক সহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 


দশমীর রাতে বীভৎস দুর্ঘটনা! ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু তিনজনের!
বিসর্জনের বিষাদের মধ্যেই পুজোয় ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল তিনজন। অদিতি গুপ্ত, রাহুলকুমার প্রসাদ, নন্দিনী প্রসাদ। পরিবারের কেউ ভাবতেও পারেনি আনন্দ মুহর্তের এমন ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে!


ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে, শিয়ালদায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল, ১ যুবক ও ২ তরুণীর। গুরুতর আহত আরও ৩ জন। দশমীর রাত, ঘড়ির কাঁটায়, প্রায় দেড়টা নর্থের দিকে ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলেন, একবালপুরের বাসিন্দা, নন্দিনী প্রসাদ। তাঁর বান্ধবী অদিতি গুপ্ত, ও তাঁর মামাতো দাদা রাহুলকুমার প্রসাদ। প্রত্যেকের বয়স, ১৭ থেকে ৩০-এর মধ্যে। মাত্র ১৩ দিন আগে, সন্তানের জন্ম দিয়েছেন রাহুলের স্ত্রী। 


প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, শিয়ালদা ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে হেঁটে হেটে এগোচ্ছিলেন তাঁরা। তখনই দুই বেপরোয়া বাসের দৌরাত্ম্য।  রেষারেষির সময়, একটি বাস পিছন দিক থেকে এসে পিষে দেয় পথচারীদের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়, বছর ১৮-র অদিতি গুপ্তর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 


পরিবারের অভিযোগ, রক্তাক্ত অবস্থায়, তরুণ-তরুণীকে নিয়ে NRS, SSKM একাধিক সরকারি হাসপাতালে ঘুরলেও, প্রথমে কেউ ভর্তি নিতে চায়নি। শেষমেষ ভোর রাতে ভর্তি করা হয় SSKM-এ। সেখানে ঠিকমতো চিকিত্‍সা হয়নি বলে অভিযোগ। 


মৃতের আত্মীয়ের কথায়, বাচ্চারা যেমন ঠাকুর দেখতে যায়, তেমনই গেছিল। একটা বাস মেরে চলে যায়। কোনও হাসপাতাল নেয়নি। আমরা এনআরএস, আরজি করে নিয়েছিলাম। সবাই বলল ডাক্তার নেই। পুলিশ স্পটে দাঁড়িয়েছিল। 


মৃতের আরেক আত্মীয়ের কথায়, যদি ট্রিটমেন্ট হত, মেয়েটা বেঁচে যেত। ডাক্তার কেউ শোনেনি। হাসপাতাল ভর্তি নেয়নি। শুনলে মেয়েটা বেঁচে যেত। কোনও ট্রিটমন্ট হয়নি। যদিও এই অভিযোগ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে SSKM হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 


বৃহস্পতিবার সকালে, দুর্ঘটনাস্থলে যান, কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ঘাতক বাসের চালক সহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অপর বাসের চালকেরও খোঁজ শুরু হয়েছে।