কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) অয়ন শীলের (Ayan Sil) প্রায় ১০০ কোটির সম্পত্তির হদিশ। ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রে দাবি, এখনও পর্যন্ত অয়ন শীলের নামে-বেনামে একাধিক সম্পত্তির নথির সন্ধান। অয়ন, তাঁর স্ত্রী ও ঘনিষ্ঠদের মিলিয়ে ৫০টির বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান, দাবি ইডি-র ।
যোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকেও নেওয়া হয়েছিল টাকা! কেবল অযোগ্য প্রার্থী নয়, চাকরির বিনিময়ে যোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকেও নেওয়া হয়েছিল টাকা! নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত, অয়ন শীলের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। টাকা না দেওয়ায়, জয়েনিং লেটার পাওয়ার পরও, চাকরিপ্রাপকের নাম প্যানেল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়ন গ্রেফতার হওয়ায় এবার সরব হয়েছেন অভিযোগকারিণী।
শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে অযোগ্য়দের চাকরি বিক্রিই নয়! যাঁরা যোগ্য়, তাঁদেরও চাকরি পাওয়ার জন্য় টাকা দিতে হত নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলকে। টাকা না দিলেই, রাতারাতি বদলে যেত প্য়ানেল! যোগ্য়তার জোরে চাকরি পেলেও, তা হারাতে হত। এমনই মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে অয়ন শীলের বিরুদ্ধে। ইনি চয়নিকা আঢ্য়। বাড়ি চুঁচুড়ায়। তাঁর দাবি,২০১৯ সালে উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড় পুরসভায় গ্রুপ D-র কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেখে তিনি আবেদন করেন। পরীক্ষা হয়, ইন্টারভিউ হয়, পাস করায় প্য়ানেলে তাঁর নামও ওঠে। স্পোর্টস কোটায় চাকরি পান তিনি। অভিযোগ, তারপরই তাঁর কাছ থেকে টাকা চায় অয়ন শীল। কিন্তু না দিতে পারায়, ৬ দিন কাজ করানোর পর, প্যানেলটাই বদলে দেওয়া হয়।
অয়নের নোডপ্যাড রহস্য: এর আগে অয়নের নোটপ্যাড-কে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। নিয়োগ-দুর্নীতিকাণ্ডে এবার কি ইডি-র হাতিয়ার হয়ে উঠতে চলেছে অয়ন শীলের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া নোটপ্যাড? ইডি সূত্রে খবর, সাদা রঙের ২টি নোটপ্যাডই ছিল লাল ফিতেয় মোড়া। তাতে উল্লেখ রয়েছে একাধিক নাম? এঁরা কারা? কী সম্পর্ক অয়নের সঙ্গে? খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ধৃত প্রোমোটার, অয়ন শীলের ৪২টি অ্য়াকাউন্টের পর ইডি-র স্ক্য়ানারে ব্য়াঙ্ক লকার। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে দাবি, অয়ন ও তাঁর স্ত্রীর একাধিক ব্যাঙ্ক লকারের হদিশ মিলেছে। সেখানে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলেও দাবি করছেন তদন্তকারীরা। যদিও অয়নের স্ত্রীর দাবি, তিনি এসব বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। সেই ব্যাঙ্ক লকারে যৌথভাবে নাম রয়েছে তাঁর স্ত্রী কাকলির। অয়নের সংস্থার দ্বিতীয় ডিরেক্টর, তাঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে ইডি সূত্রে দাবি। শনিবার, সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে আসেন অয়নের স্ত্রী কাকলি।