কলকাতা: অ্যাডিনোভাইরাসকে (Adenoviruses) ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহরে। সেই আবহে ফের তিন শিশুর মৃত্যু হল।এর মধ্যে কলকাতার বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি ছিল দুই শিশু। বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। অন্য শিশুটি মারা যায় শুক্রবার সকালে। শিশু দু'টির মৃত্যুর শংসাপত্রে কারণ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে নিউমোনিয়ার। শিশু দু'টি অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত ছিল কিনা, এখনও তা জানা যায়নি (Kolkata News)। কারণ অ্যাডিনো রিপোর্ট আসেনি এখনও পর্যন্ত (Child Deaths)। 


বিসি রায় হাসপাতালে আরও দুই শিশুর মৃত্যুতে উদ্বেগ


বিসি রায় হাসপাতালে আরও দুই শিশুর মৃত্যুতে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার একটি শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফুলবাগান এলাকার বাসিন্দা সে। বয়স ছিল মাত্র ন'মাস। শিশুটির জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রেখে চলছিল চিকিৎসা। তার ফুসফুসের অবস্থা খারাপ ছিল। ছিল নিউমোনিয়াও। এখনও অ্যাডিনো পরীক্ষার রিপোর্ট আসেনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টা নাগাদ মারা যায় শিশুটি।


অন্য দিকে, রাজারহাটের বাসিন্দা ৯ মাস ১৪ দিন বয়সি এক শিশুরও মৃত্যু হয়েছ। গত ২২ দিন ধরে বিসি রায় হাসপাতালে নিকু-তে ভর্তি ছিল ওই শিশু। পরিবারের দাবি, অ্যাডিনো সংক্রমণ ছিল শিশুটির।  আবার কলকাতা মেডিক্যালে গতকাল রাতে মৃত্যু হয় নদিয়ার ফুলিয়ার বাসিন্দা ১ বছর ২ মাসের একটি শিশুর। হাসপাতালের রিপোর্টে নিউমোনিয়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন: Crime News: দমদম প্রাইভেট রোডের আমবাগান থেকে প্রচুর পরিমাণ জীবজন্তুর ছাল ও হাড় উদ্ধার


অর্থাৎ বিসি রায় হাসপাতাল এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরও তিন শিশুর মৃত্যু হল। বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নিয়ে দু'মাসে রাজ্যে মৃত্যু হল ১২৯ জন শিশুর। 


অ্যাডিনোকে ঘিরে এই আতঙ্ক এবং শিশুমৃত্যুর মধ্যেই বিসি রায় শিশু হাসপাতালে অব্যবস্থার অভিযোগ উঠল। হাওড়ার শ্যামপুরের একটি পরিবারের অভিযোগ, ১০ ঘণ্টা কার্যত বিনা চিকিৎসায় পড়েছিল তাদের চার বছরের শিশু। প্রথমে আইসিইউ নেই বলে বন্ডে সই করানো হয়। অভিযোগ, এরপর শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ভর্তি করা হয় আইসিইউ-তে।


বিসি রায় শিশু হাসপাতালে অব্যবস্থার অভিযোগ উঠল


ওই পরিবারের প্রশ্ন, আইসিইউ খালি থাকা সত্ত্বেও প্রথমে বন্ড সই করানো হল কেন? একইসঙ্গে শিশুর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের তরফে থার্মোমিটারও কিনে আনতে বলা হয়। বি সি রায় হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিশুর পরিবার।