সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ( Bengal Recruitment Scam )  ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ( Shantanu Baneerjee )  ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীল ( Ayan Sheel ) । কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, ৫০ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে অয়ন শীলের অ্যাকাউন্ট থেকে। এই টাকা লেনদেন নিয়ে প্রোমোটারের কাছ থেকে সদুত্তর মেলেনি।  প্রোমোটার অয়ন শীলের  এক নয়, দুই নয়, অনেকগুলি কোম্পানির হদিশ পেয়েছে ইডি।


প্রায় ৩৭ ঘন্টা  ম্যারাথন তল্লাশি


সল্টলেকের অফিসে প্রায় ৩৭ ঘন্টা  ম্যারাথন তল্লাশির পর  ইডির হাতে গ্রেফতার হয় শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীল ।  সূত্রের খবর, ABS ইনফোজোন প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার ডিরেক্টর অয়ন ও তাঁর স্ত্রী কাকলি শীল। সল্টলেকের অফিসে দু’-দু’টি কয়েকলাখি গাড়ি মিলেছে। যার একটি মাহিন্দ্রা SUV, অপরটি হন্ডা সিটি। ইডি সূত্রে দাবি, দুটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশনই ABS ইনফোজোনের নামে।

আরও পড়ুন :


অয়নের অফিসের কম্পিউটার খুলে চক্ষু চড়কগাছ ED র, কী কী তথ্য সামনে এল ?


টলিউড ছবিতেও বিনিয়োগ আছে অয়নের ?


ED র দাবি,  রিয়েল এস্টেট সংস্থাও রয়েছে অয়নের। রয়েছে প্রোডাকশন হাউস ইডি-র দাবি, এই সংস্থার মাধ্যমে টালিগঞ্জে ছবি তৈরিতেও বিনিয়োগ করেছিলেন অয়ন। তবে কি নিয়োগ দুর্নীতির টাকা টলিপাড়ায় বিনিয়োগ হয়েছে? তাও খতিয়ে দেখছে ইডি।  


এখন প্রশ্ন, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগে শুধু প্রোমোটার অয়ন শীলকেই কি বোড়ে হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন শান্তনু ? ইডি-র দাবি, অয়ন জেরায় জানিয়েছেন, শান্তনুর সঙ্গে আরও তিনজন বিল্ডিং ডেভেলপারের পরিচয় করিয়ে দেন তিনি। তাঁদের মাধ্যমেও শান্তনু বিনিয়োগ করেছিলেন বলে অয়নের দাবি, খবর ইডি সূত্রে । এবার ইডি-র স্ক্যানারে ওই তিনজন বিল্ডিং ডেভেলপারও। তাহলে এই জাল কতদূর বিছিয়ে ? উঠছে প্রশ্ন । 

৫০ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন?


কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, ৫০ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে অয়ন শীলের অ্যাকাউন্ট থেকে। এই টাকা লেনদেন নিয়ে প্রোমোটারের কাছ থেকে সদুত্তর মেলেনি। এছাড়াও, অয়নের সল্টলেকের অফিস থেকে শ চারেক OMR শিট, অ্যাডমিট কার্ড, চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা, রাজ্যের ৭০টি পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি এবং ডিজিটাল নথি মিলেছে বলে ইডি-র দাবি। ইডি সূত্রে খবর, অয়নের অফিসে ৭টি কম্পিউটারের মধ্যে কয়েকটির অ্যাকসেস পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর অয়নকে এনে সেগুলি খোলা হয়। অয়নকে গ্রেফতারের পাশাপাশি, ২টি ট্রলি ব্যাগে করে প্রচুর নথি নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইডি অফিসে।