সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: কারও দাবি শান্তিপুর নদিয়াতেই থাক! আবার কেউ বলছেন, রানাঘাট জেলা হলে প্রশাসনিক কার্যালয় যেন রানাঘাটেই হয়! নদিয়া ভেঙে দুটি জেলা তৈরির মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর এরকম নানা দাবি তুলছেন অনেকে। এরইমধ্যে শুরু হয়েছে তরজাও।
সোমবার রাজ্যে আরও ৭টি নতুন জেলা তৈরির ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে ভাগ হচ্ছে রাজ্যের ৫টি জেলা। যার অন্যতম নদিয়া। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও শান্তিপুরকে নদিয়া জেলার মধ্যে রাখা আবার কোথাও রানাঘাট পৃথক জেলা হলে, তার প্রশাসনিক কার্যালয় রানাঘাটেই করার দাবিতে সরব হলেন একাংশ। এর আগে নদিয়ায় দুটি পুলিশ জেলা তৈরি করে প্রশাসন। একটি রানাঘাট পুলিশ জেলা ও অপরটি কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলা।
কিন্তু রানাঘাটবাসীর দাবি, পুলিশ জেলার নাম রানাঘাট হলেও, প্রধান কার্যালয় কল্যাণীতে। জেলা ভাগের ক্ষেত্রেও এমনটা যাতে না হয়, তার জন্য আগেভাগে প্রশাসনিক কার্যালয় রানাঘাটে করার দাবি উঠেছে।
এ দিন রানাঘাট রেলস্টেশনের জিআরপি গেটের কাছে বিক্ষোভ দেখায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। সেখানে ছিলেন তৃণমূল পরিচালিত রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যানও। নদিয়া জেলায় বর্তমানে মোট চারটি মহকুমা রয়েছে। সূত্রের খবর, এর মধ্যে রানাঘাট ও কল্যাণী মহকুমা নিয়ে রানাঘাট জেলা এবং তেহট্ট ও কৃষ্ণনগর নিয়ে নদিয়া জেলা তৈরির কথা রয়েছে।
তেমনটা হলে, রানাঘাট মহকুমার মধ্যে থাকা শান্তিপুর, নদিয়া জেলা থেকে বেরিয়ে যাবে। যার বিরুদ্ধে এদিন পথে নামে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন।
রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের কথায়, এর আগে পুলিশ জেলা ভাগ করা হয়েছে শুধুমাত্র বিজেপিকে দমন করার জন্য, মিথ্যাকেস দেওয়ার জন্য। তবে সেই উদ্দেশ্য নিয়েই যদি হয়, তাহলে মমতা ব্যানার্জির উদ্দেশ্য কোনোভাবেই সফল হবে না। চারিদিকে চোর ধরো জেল ভরো যেভাবে হচ্ছে, তা ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক কারণেও এটা হয়তো করছেন।সব মিলিয়ে জেলা ভাগ নিয়েও চড়ছে পারদ।