কাবুল: সূর্যোদয়ের তখনও ঘণ্টাখানেক বাকি। বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলেন একসময়ের বিশ্বত্রাস জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়দার প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি (Ayman al-Zawahiri)। তার পর...কোথা থেকে কী হল! নিমেষে 'শেষ' ওসামা বিন লাদেনের পুরনো সঙ্গী। অথচ একটিও বিস্ফোরণ হয়নি, চলেনি গুলিও। তা হলে কী ভাবে মারা গেলেন জাওয়াহিরি? মার্কিন প্রশাসনের মুখে কুলুপ। তবে বিভিন্ন সূত্রে খবর, আল-কায়দা প্রধানকে খুন করতে যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল তার নাম Hellfire R9X। তার আসা-যাওয়া সবটাই নীরবে।


কে তুমি  Hellfire R9X?
আর এক নাম 'নিনজা বম্ব'। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের মাথাদের নিকেশ-অভিযানে যাতে সাধারণ মানুষের রক্তপাত না হয়, সে জন্য 'টার্গেটেড অ্যাসাসিনেশন' করতে ব্যবহার হয় এটি। নানা ধরনের মডেল হয় হেলফায়ার-র। তবে সাধারণ ভাবে ছটি ধারাল ব্লেড থাকে এতে। প্রচণ্ড গতিতে সেটি ঘুরতে ঘুরতে নির্দিষ্ট টার্গটের দিকে ধেয়ে যায়। খুব বড় অঘটন না ঘটলে এতে একমাত্র ওই ব্যক্তিরই দেহ ছিন্নভিন্ন হওয়ার কথা। সিরিয়ার ইদলিবে এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রয়োগে একটি গাড়ির কী দশা হয়েছিল, তা এই মুহূর্তে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও সেই গাড়িটি আদৌ হেলফায়ার-র ধাক্কাতেই ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল, সেটা নিশ্চিত ভাবে বলার উপায় নেই। তবে বিভিন্ন সূত্রে শোনা যায়, পেন্টাগন ও মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র বড় প্রিয় এই অস্ত্র। 


জাওয়াহিরির ক্ষেত্রে যা হয়...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুধু জানিয়েছেন, ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয়েছে জাওয়াহিরির। যদিও সংবাদংস্থা এএফপি-র দাবি, অপারেশনে ব্যবহার করা হয়   Hellfire R9X। নাম গোপন রাখার শর্তে মার্কিন প্রশাসনের এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে এএফপি জানিয়েছে দাবি, ওই ড্রোন থেকে দুদুটি Hellfire R9X ছোড়া হয়েছিল। জাওয়াহিরি তখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে। তার পর...
না, কোনও আওয়াজ হয়নি। গুলিও চলেনি। তবে উদ্দেশ্য়সিদ্ধি হয়েছে। অন্তত তেমনই দাবি আমেরিকার। 


আরও পড়ুন:রাজ্যে আক্রান্ত বেড়ে আচমকাই দ্বিগুণ, কোভিডে কোথায় দাঁড়িয়ে মৃত্যু ?