কলকাতা : হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । রবিবার নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দফতরে পুলিশি অভিযান হয়। তা নিয়ে তুঙ্গে ওঠে রাজনীতি। ভিডিও পোস্ট করে ট্যুইট করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চান । 
সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী।  তিনি প্রশ্ন তুলোছেন, ‘ওয়ারেন্ট ছাড়া কি ভাবে বিরোধী দলনেতার অফিসের তল্লাশি করা হল?’। চাওয়া হয় মামলা করার অনুমতি । 
অনুমতি চাওয়া হয় বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চে। মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি।


ঘটনার সূত্রপাত
একটি দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত! পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল। তাঁর স্ত্রী মহুয়া পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করে, তমলুক কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের নন্দীগ্রাম শাখায় গ্রুপ D কর্মী থেকে ম্যানেজার হয়েছেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই, রবিবার নন্দীগ্রামের হরিপুরে মেঘনাদ পালের বাড়িতে যায় পুলিশ। কিন্তু সেখানে তাঁর স্ত্রীকে না পেয়ে, শুভেন্দু অধিকারীর দফতরে যায় পুলিশ।


প্রথমে এই ভিডিওটি ট্যুইটারে পোস্ট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তারপর সেটি পোস্ট করেন শুভেন্দু অধিকারীও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও নন্দীগ্রামের বিধায়ক লেখেন, কোনও পূর্ব সূচনা না দিয়ে, কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই এবং ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতিতে, আচমকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ আমার নন্দীগ্রামের বিধায়ক কার্যালয়ে অনধিকার প্রবেশ করে। মমতা সরকারের পুলিশের এই জঘন্য অপব্যবহার বিরোধী দলনেতার প্রতি এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের প্রমাণ।






আরও পড়ুন :


জোরাল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ,ভাসছে অসম, বঙ্গের কোথায় কোথায় ভারী বৃষ্টি