নয়া দিল্লি : মার্চ মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গিয়েছিল। এবার কেঁপে উঠল বাংলার মাটি। সাত সকালে ভূমিকম্প অনুভূত হল পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় ।
শিলিগুড়ির মাটি কেঁপে ওঠে
জানা গিয়েছে , উত্তরবঙ্গের দুই দিনাজপুর, মালদা, এবং শিলিগুড়ির আশেপাশে মাটি কেঁপে ওঠে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেসমোলজি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎস শিলিগুড়ির থেকে ১৪০ কিমি দক্ষিণ পশ্চিমে, বিহারের পূর্ণিয়ায় ।
কোথায় কোথায় কম্পন
কম্পনের ভরকেন্দ্র, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিমি গভীরে । জানা গিয়েছে, এই ভূকম্পনের জেরে পূর্ব নেপাল , বাংলাদেশের উত্তর অংশেও সামান্য কম্পন অনুভূত হয়েছে । সবথেকে বেশি কম্পন অনুভব করা গিয়েছে বিহারের নেপাল সীমান্তের কাছে আরারিয়ায়।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি কী জানাল
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) একটি টুইট বার্তায় জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৫.৩৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির মতে, ভূমিকম্পটি হয়েছে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) অনুসারে এর আগে ৯ এপ্রিল, রবিবার দুপুর ১টা ১৬ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৫.৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয় নিকোবর দ্বীপের ১০ কিলোমিটার গভীরে। দ্বিতীয় ভূকম্পন হয় বেলা ২টা ৫৯ মিনিটে। সেটির তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৪.১। ।
বিহারের বেশ কয়েকটি জায়গাতেও কম্পন অনুভূত হয়। কিষাণগঞ্জ, ভাগলপুর, কাটিহারে মাটি কেঁপে ওঠে।
কলকাতা নিয়ে দুশ্চিন্তা
২০১৫ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে পুরভোটের দিন কেঁপে উঠেছিল কলকাতার মাটিও। সেবার কম্পনের উৎসস্থল ছিল নেপাল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭.৮। একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছিল কলকাতায়! এই ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে সেই দিনটা ! সঙ্গে উদ্বেগ, কলকাতায় এই মাপের প্রবল ভূমিকম্প হবে না তো! তেমনটা হলে কী অবস্থা হবে তিলোত্তমার? বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্পপ্রবণ ও মৃদু ভূমিকম্পপ্রবণ জোনের মধ্যেই পড়ে কলকাতা। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ার, ভাস্কর সেনগুপ্ত বলেন, কলকাতার সল্টলেক ও নিউটাউন এলাকা নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ রয়েছে। রিখটার স্কেলে ৬ এর আশেপাশে ধাক্কটা এলে, ক্ষতি হয়ে যেতে পারে বড়সড়।