সনৎ ঝা, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে (Siliguri) বামেদের মিছিলে 'ধুন্ধুমার।' পুলিশের সঙ্গে রীতিমত ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা (Left Agitation)। ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় গার্ডরেল। পুরসভা ঘিরে এদিন অভিযান চালানোর কর্মসূচি ঘিরে আগে থেকেই উপস্থিত ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী (Police)। যাতে বামেরা শিলিগুড়ি পুরসভায় বামেরা যাতে ঢুকতে না পারে, সেজন্য সতর্ক ছিল পুলিশ প্রশাসন।


বামেদের বিক্ষোভ শুরু হতেই শুরু হয় ধুন্ধুমার শিলিগুড়িতে। শেষ অবধি ব্যারিকেড ভেঙেই পুরসভা চত্ত্বরে ঢুকে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। মূলত ২০১২ সালের একটি মামলার ইস্যুতে দোষীদের শাস্তি চেয়ে বিক্ষোভ এবং পুরসভায় কিছু কাজকর্ম হচ্ছে না, উন্নয়নমূলক কোনও কাজ হচ্ছে না। রাস্তাঘাট পরিষ্কার থাকছে না, পাশিপাশি শিলিগুড়ির মোড়ে পার্কিং ইস্যু-সহ একাধিক অভিযোগ তুলেই মূলত এদিন বামেদের প্রতিবাদ মিছিল। তবে শিলিগুড়ি ইস্যুর পাশাপাশি এমনিতেই রাজ্যে একের পর এক মামলায় জর্জরিত শাসকদল। আর যা নিয়ে রীতিমত আক্রমণ করছে বামেরা। ইতিমধ্যেই গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই-র স্ক্যানারে  সম্পত্তি। এই প্রেক্ষাপটে, আরও একটি বিষয়ের দিকেও নজর রয়েছে সবার। সেটা হল কার কত সম্পত্তি বেড়েছে ? শাসকদলের নেতাদের না বিরোধীদের ? হাইকোর্টে সম্পত্তি সংক্রান্ত জোড়া মামলাকে কেন্দ্র করে, এখন এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে।


আরও পড়ুন, ধৃত 'মিডলম্যান'-কে জেরায় নয়া তথ্য, অ্যাডমিট কার্ডের নম্বর ধরে অযোগ্য প্রার্থীদের খোঁজে সিবিআই


সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে,  সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের আইনজীবী হাইকোর্টে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, কোনও নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানো হোক। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন,'সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা। এর কোনও ভিত্তি নেই। আমরা সেদিনই বলেছিলাম। আমাদের আইনজীবী বলেছেন যে কোনও তদন্ত হোক, জাতীয়-আন্তর্জাতিক যা পারে হোক। তৃণমূলের মন্ত্রীরা গেছেন যদি ইডি না হয়। বিজেপির নেতারা হয়ত বলছেন, আমরা কিছু পাইনি। কোনও অসুবিধা নেই। নিরপেক্ষ যে কোনও সংস্থা পারলে করুক। যারা মামলা করেছে, তারা যেন প্যান্টের দড়ি শক্ত করে আসেন,  খুলে যেনও না যায়।'


 অপরদিকে, ২০১৭ সালে দায়ের একটি মামলায়, সম্প্রতি ইডি-কে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন  কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেই মামলায় সম্পত্তি বৃদ্ধির তালিকায় ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক-সহ তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-সহ ১৯ জন হেভিওয়েটের নাম রয়েছে। এই নিয়ে নানা জল্পনার মধ্যেই গত ১৮ অগাস্ট, ১৭ জন বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে অল্প সময়ে বিপুল সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগে, নতুন একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। তাতে শিশির ও শুভেন্দু-সহ অধিকারী পরিবারের ৩ সদস্য, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য, রাজ্য বিধানসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানের নাম রয়েছে।