কলকাতা: দেশজুড়ে শুরু হয়েছে গণেশ চতুর্থীর (Ganesh Chaturthi) প্রস্তুতি। ৩০ অগাস্ট থেকেই ভারত জুড়ে গণেশ চতুর্থীর উৎসব শুরু হবে। মূলত একদিনের উৎসবের কথা বলা বলেও, আসলে অনেক জায়গাতেই দশ দিন ধরে এই উৎসব পালন করা হয়। গণেশের বিশেষ পূজা করা হয়। উৎসবের প্রথম দিনে গণেশ দেবতার প্রতিষ্ঠা করা হয়। গণেশ চতুর্থীর উৎসবে অনেক গৃহস্থ বাড়িতে গণেশের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পুজো-অর্চনা করে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন। কিন্তু এই বিষয়ে একটি দিকে সবসময় সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিত। বাড়িতে মূর্তি প্রতিষ্ঠা করার সময় গণেশের কী ধরনের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে, সেটিতে নজর দিতে হবে। কারণ সব ধরনের মূর্তি বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করা যায় না। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, ভুল মূর্তি স্থাপন করলে তা শুভ বলে মনে করা হয় না।

  


এ বছর কখন উৎসব:
পঞ্চাঙ্গ মতে, প্রতি বছর ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে গণেশ চতুর্থীর উৎসব শুরু হয় এবং অনন্ত চতুর্দশীতে শেষ হয়। এবার গণেশ চতুর্থী ৩১ অগাস্ট এবং অনন্ত চতুর্দশী ৯ সেপ্টেম্বর পড়েছে।


গণেশ উৎসবে গণেশ ঠাকুরের মূর্তি (Ganesha Idol) বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কী কী ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যাঁরা এই দিকে মনোযোগ দেন না এবং ভুল মূর্তি নিয়ে বাড়িতে আসেন, তাঁরা গণেশের আশীর্বাদ পান না বলেই বিশ্বাস করা হয়।


কেমন মূর্তি হওয়া উচিত:
প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, বাড়িতে এবং মন্দিরে গণেশের মূর্তি স্থাপনের জন্য বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে। গণেশ ঠাকুরের মূর্তিতে তুণ্ড বা শুঁড় ডানদিকে বাঁকানো থাকলে তা সিদ্ধিপীঠের সাথে যুক্ত। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে এমন গণেশের মূর্তি স্থাপন করা হয় না। অন্যদিকে, যে মূর্তিরতে গণেশের তুণ্ড বা শুঁড় বাম দিকে ঘোরানো থাকে, সেই মূর্তি বাড়িতে স্থাপন করা যেতে পারে, পুজো করা যেতে পারে। বাড়িতে গণেশের মূর্তি স্থাপন করে, নিয়ম মেনে পুজো করলে সুখ-সমৃদ্ধি আসে বলে বিশ্বাস করা হয়। বাস্তু দোষ দূর হয়, নেতিবাচক শক্তি নষ্ট হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। 


ডিসক্লেইমার: এখানে দেওয়া তথ্য শুধুমাত্র লোকবিশ্বাস, অনুমান এবং প্রচলিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন: কীভাবে কালিকা থেকে কৃষ্ণবর্ণ দেবী কৌশিকীর সৃষ্টি ? গল্প শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে !