শিলিগুড়ি: মৃত্যুর পর সামনে এল রোগীর ডেঙ্গি (Dengue Infected) আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট! । শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের (Siliguri District Hospital) ঘটনায় চাঞ্চল্য। ‘২ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই রোগী, সেই সময় ডেঙ্গি পরীক্ষা করা হয়নি কেন?’ প্রশ্ন তুলে সরব শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। পুরসভার বিরুদ্ধেও ডেঙ্গি প্রতিরোধে গাফিলতির অভিযোগ সিপিএমের। ‘বাম আমলে ত্রুটি সংশোধনেই সময় চলে যাচ্ছে’ সাফাই তৃণমূলের (TMC)।


কেন বাড়ছে পজিটিভিটি রেট?  


রাজ্যে ভয়াবহ আকার নিয়েছে ডেঙ্গি পরিস্থিতি। অকালে ঝরে যাচ্ছে একের পর এক তরুণ তরতাজা প্রাণ। এদিকে, রাজ্যে উদ্বেগজনক ডেঙ্গি পরিস্থিতি, স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক মুখ্যসচিবের। বৈঠকে থাকবেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা ছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্তারা, এমনটাই খবর। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য মুখ্য সচিব নবান্নে উচ্চপর্যয়ের বৈঠক করেন। বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের জরুরি তলব করা হয় নবান্নে (Nabanna)। সেই সময় কয়েকটি নির্দিষ্ট জেলার জেলাশাসকদের ভার্চুয়াল ধরা হয় বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। কেন রাজ্যে ক্রমবর্ধমান ডেঙ্গি সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কেন বাড়ছে পজিটিভিটি রেট? সেই উত্তর খুঁজতে আজ বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য কর্তারা।


আরও পড়ুন, 'বিজেপি নেতা'-র বিরুদ্ধে 'গরুপাচারের' অভিযোগ, 'পুলিশের ভূমিকা' নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূল বিধায়কের


রাজ্যের ডেঙ্গি-পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর


অপরদিকে, রাজ্যের ডেঙ্গি-পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ট্যুইট করে বলেন, ‘রাজ্যের ডেঙ্গি-পরিস্থিতি অযোগ্য সরকারের হাতের বাইরে। আর্থিক সঙ্কটের কারণেই পরিস্থিতি এত ভয়াবহ। দেউলিয়ার পথে রাজ্য সরকার, যার পরিণাম ভুগছে জনস্বাস্থ্য। প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ, পরিস্থিতি ভয়াবহ।'প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার, ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়, ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডের বাসিন্দা, ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, রিঙ্কি ভট্টাচার্যের। একসঙ্গে জ্বর ও জণ্ডিস হয় তাঁর। ১৭ অক্টোবর থেকে ভর্তি ছিলেন, আর জি কর হাসপাতালে। কিন্তু যুঝতে পারলেন না জীবনযুদ্ধে। আর সোমবার সকালে, ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়, একই পাড়ার বাসিন্দা, NRS হাসপাতালের সাফাই কর্মী বুবাই হাজরার। সোমবার, ভোর সাড়ে ৩টেয় NRS হাসপতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। পাশাপাশি সল্টলেক AMRI হাসপাতালে, মৃত্যু হয় কেষ্টপুরের বাসিন্দা, সোমনাথ দে নামে বছর ৩৬-এর এক যুবকের। ডেথ সার্টিফিকেটে, সেপ্টিক শক ও মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওরের উল্লেখ রয়েছে। সোমবার সকালে, রুবি হাসপাতালে মৃত্যু হয়, আরেক ডেঙ্গি আক্রান্তের।