আবির দত্ত, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে OMR শিট মূল্যায়নকারী সংস্থা নাইসা-র দুই আধিকারিককে আজ নিজাম প্যালেসে তলব করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, হাতে আসা বয়ানকে সামনে রেখে এঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। নাইসা-র আধিকারিকদের কাছে জানতে চাওয়া হবে, OMR শিট বিকৃত করার প্রক্রিয়া কবে শুরু হয়েছিল, কতদিন ধরে চলেছিল। কাদের নির্দেশে হয়েছিল OMR শিট বিকৃত করা হয়েছিল তাও জানতে চাইবেন সিবিআই অফিসাররা।


নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে আগেই গ্রেফতার হন নাইসা-র ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রি দাস। সিবিআইয়ের দাবি, নীলাদ্রির ফোন থেকে উদ্ধার হয় চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা, রোল নম্বর। কয়েকজন SSC কর্তার ফোন নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও মেলে। 


এর আগে গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় নাইসার আধিকারিক পঙ্কজ বনসলের। এই প্রথম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কারও গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হল। নমুনা নেওয়া হল, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত এজেন্ট আবদুল খালেকের সই ও হাতের লেখার।


নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, এই প্রথম কারও গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হল। OMR শিট মুল্যায়নকারী সংস্থা নাইসার ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রি দাসকে গ্রেফতার করেছে CBI এরপরর,নাইসার আধিকারিক পঙ্কজ বনসলের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।


সূত্রের দাবি, OMR শিট কীভাবে নষ্ট করা হয়েছিল? কীভাবে এই কাজ করা হত?এর পাশাপাশি, ধৃত নীলাদ্রির সঙ্গে পর্ষদের কারা যোগাযোগ করতেন এখান থেকে কাদের কাছে নির্দেশ যেত? সেই বিষয়ে নাইসার আধিকারিকের বয়ান রেকর্ড করা হয়।


এদিনই, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত এজেন্ট আবদুল খালেকের সই ও হাতের লেখার নমুনা নেওয়া হয়। সূত্রের দাবি, তদন্তে একাধিক নথি এবং ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে। যেখানে টাকা লেনদেনের হিসাব রয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই হাতের লেখা আব্দুল খালেকের। সেটা মিলিয়ে দেখতেই তাঁর সই ও হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।


এদিন, শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং আব্দুল খালেকের মামলার শুনানি হয়। আদালতে প্রতারণার আরও তিনটি ধারা যুক্ত করার আবেদন করা হয়। এই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। জেলে গিয়ে SSC-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোক কুমার সাহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং এজেন্ট প্রদীপ সিংহকে জেরা করার আবেদন করে CBI। সেই আবেদন গৃহীত হয়েছে। যে কোনও দিন বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টের মধ্যে জেলে গিয়ে জেরা করতে পারেন গোয়েন্দারা।