কলকাতা: কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে আর ফেরা হল না সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নথের (কে কে) (Singer KK Death)। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তাতে শোকের ছায়া নেমেছে সঙ্গীত এবং বিনোদন জগতে। সতীর্থকে হারানোর যন্ত্রণা প্রকাশ করলেন সঙ্গীতশিল্পী তথা তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়ও (Babul Supriyo)। এই কী যাওয়ার বয়স, প্রশ্ন তাঁর। গান গেয়ে পরিচিতি জুটলেও, কে কে-র মতো প্রতিভা, শ্রুতি মধুর আওয়াজ খুব কম শিল্পীর বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 


কে কে-র প্রয়াণে শোকের ছায়া


কে কে-র মৃত্যুতে শোকের ছায়া সর্বত্র। সেই পরিস্থিতিতেই নিজের মনের অবস্থা জানান বাবুল। তিনি বলেন, "একসঙ্গে কেরিয়ার শুরু করেছিলাম।  কে কে অত্যন্ত ভাল গায়ক ছিলেন। ভারতে রক মিউজিকের হিড়িক শুরু হলে, ওঁর গলার তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। অনেকের গানই হিট হয়। কিন্তু প্লেব্যাক করার জন্য, শ্রুতিমধুর গলা থাকতে হয়, যা কানে শুনে ভাল লাগে। কে কে-র গলার আওয়াজ তেমনই ছিল।"


মাত্র ৫৩ বছর বয়সে কে কে-র চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না বলেও জানান বাবুল। তিনি বলেন, "কে কে একেবারে যাকে বলে ভাল ছেলে। গান ছাড়া অন্য কোনও কথা বলতেনও না, শুনতেনও না। কোনও পার্টিতে যেতেন না তিনি। বম্বে-তে থাকতেন, সময় পেলেই বেড়াতে যেতেন। আদ্যোপান্ত পারিপারিক মানুষ। ৫৩ বছর বয়সে চলে গেলেন! জীবন আর কত পরীক্ষা নেবে? ঘুম ভেঙে সকালের আলো  দেখতে পাওয়াই এখন বড় ব্যাপার।"


আরও পড়ুন: KK Demise: শোক-বিস্ময়-হৃদয়বিদারক, কে কে-এর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিনোদন জগত


মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে একটি কলেজের অনুষ্ঠানে এসে গান গাওয়ার সময় অসুস্থ বোধ করেন কে কে। সূত্রের খবর, অনুষ্ঠানের সময় স্পট লাইট অফ করতে বলেছিলেন গায়ক। অনুষ্ঠান-বিরতিতে ব্যাক স্টেজে বিশ্রামও নেন তিনি। এরপর থেকে হোটেলে ফিরে যান কে কে। সেখান থেকে CMRI হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। 


কে কে-র মৃত্যুর তদন্তে পুলিশ


কে কে-র মৃত্যুতে নিউ মার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়রা হয়েছে। শারীরিক অসুস্থতা নাকি অন্য কোনও কারণে সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যু, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কে কে-র সহকারী এবং হোটেলকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি, খতিয়ে দেখা হচ্ছে হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও।