কলকাতা: সঙ্গীতশিল্পী কে কে-র মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন সঙ্গীতিশিল্পী সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ভারত বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীর মৃত্যুর খবর শুনে বিশ্বাসই করতে পারছেন না আমি শকড বললেও কম বলা হয়। ফেসবুকে পোস্ট দেখলাম। এরপর এবিপি আনন্দ চালিয়ে দেখলাম এই ঘটনা। আমি নিজে কে. কের ভীষণ ফ্যান। বরাবর ওঁর গলা আমার খুব পছন্দের। কালিকার পর কেকের খবর শুনে একইভাবে আঘাত পেলাম। কেকের সঙ্গে আলাপ ছিল না। কিন্তু ওঁর অনুষ্ঠান দেখেছিলাম।  কিছু বলতে পারছি না।''


লাইভ অনুষ্ঠান করতে করতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কে কে


পরপর দু’দিন কলকাতায় অনুষ্ঠান করেন কে কে। আজ সন্ধে ৬টা ৪৫ মিনিটে নজরুল মঞ্চে,  উল্টোডাঙার গুরুদাস কলেজের অনুষ্ঠান শুরু করেছিলেন তিনি।বাংলা, হিন্দি, তামিল, কণ্ণড়, মালয়ালাম, মারাঠি, অসমীয়া ভাষায় গান গেয়েছেন। মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে খবর সূত্রের। সূত্রের খবর, মঞ্চেই নাকি কেকে বারবার জানাচ্ছিলেন তাঁর শরীর খারাপ লাগছে। স্পটলাইট অফ করতে বলছিলেন। হোটেলে ফিরে যান তিনি, সেখানে আরও অসুস্থ হওয়ার পর ডায়মন্ড হারবার রোডের পাশে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন তিনি।  


হাসপাতাল সূত্রে খবর:
সূত্রের খবর, হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, যখন তাঁকে নিয়ে আসা হয়, তখন তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। পরে তাঁকে পরীক্ষা করে বলা হয় তিনি মারা গিয়েছেন। এখন হাসপাতালে পৌঁছচ্ছেন হাসপাতালের প্রবীণ চিকিৎসকরা। যাচ্ছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা হাসপাতালে উপস্থিত রয়েছেন। 


১৯৬৮-র ২৩ অগাস্ট, দিল্লিতে জন্ম কৃষ্ণকুমার কুন্নথের। সঙ্গীত দুনিয়ায় কেকে নামেই পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি। কিরোরি মল কলেজের প্রাক্তনী কে কে নিজের গানের জাদুতেই অসংখ্য অনুরাগীর হৃদয় জয় করেছেন।