জয়দীপ হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সরকারি জমি দখলে নাম জড়াল প্রাক্তন মন্ত্রী ও তৃণমূল (TMC) বিধায়কের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) মগরাহাটে সেচ দফতরের জমি দখল করেছেন গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। এই অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন এলাকাবাসীর একাংশ। জমি দখলের কথা মেনে নিয়ে বিধায়কের (MLA) পাল্টা সাফাই তিনি লিজের আবেদন জানিয়েছেন।


কোন জমি নিয়ে বিতর্ক:
দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানার কাছে শিরাকোল রোড লাগোয়া তৃণমূল বিধায়কের এই জনসংযোগ ভবন। এটা ঘিরেই শুরু যত বিতর্ক। তৃণমূল বিধায়কের ওই অফিসের ঠিক পিছনে রয়েছে একটি খাল। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, সেচ দফতরের ৩০ শতক জমি দখল করে ভবন তৈরি করেছেন তৃণমূল বিধায়ক। এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। অভিযোগকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে, সরকারি জমি উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলেরই জেলা পরিষদ সদস্যা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য সঙ্গীতা হালদার বলেন, 'যে জমির রেকর্ড নেই, সেই জায়গা সেচের। খাল (Canal) বুজিয়ে উনি ইমারতি করেছেন। বিধায়ক বা যেই হোক সরকারি জমি দখল করলে সরকারের উচিত উদ্ধার করা।'


অভিযোগ স্বীকার:
জমি দখলের অভিযোগ কার্যত মেনে নিয়েছেন বিধায়ক। তবে ৩০ শতক নয়, দশ শতক জমি দখলের কথা স্বীকার করেছেন তৃণমূল বিধায়ক। পাশাপাশি তাঁর দাবি, তিনি ওই জমি লিজের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। মগরাহাট পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা বলেন, 'আমার খরিদ করা জায়গা, পিছনে সেচের কিছুটা জায়গা আছে। এটা অস্বীকার করার নেই। সেচ দফতরের সঙ্গে লিজ নেওয়ার কথা চলছে।'


বিজেপির খোঁচা:
জমি দখলের অভিযোগ সরব হয়েছে বিজেপিও। দলের ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি সুফল ঘাটু বলেন, 'বিধায়ক নিজে বাড়ির সামনে সরকারি সম্পত্তি জবরদখল করেছেন। সরকারের কাছে আবেদন জানাব বেআইনি জমি পুনরুদ্ধার করা হোক।'


কী বলছে প্রশাসন:
রাজ্য সেচ দফতর সূত্রে দাবি, জমি দখলের কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে। 


আরও পড়ুন: তৃণমূলের ডেপুটি মেয়র, নাম ঘোষণা বিজেপি কাউন্সিলরের, আজব ছবি আসানসোলে