পশ্চিমবঙ্গে SIR শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া নিয়ে এখনও অনেকেই সংশয়ে। এই প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এনিয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে আরও অনেক বেশি প্রচার প্রয়োজন ছিল। বাড়ি বাড়ি ফর্ম পৌঁছে দিতে শুরু করেছেন বুথ লেভেল অফিসার অর্থাৎ BLO-রা। আর অভিজ্ঞতাও হচ্ছে বিচিত্ররকমের। নানা মানুষ, সমস্যাও বহু, সমস্যার ধরনও বহু। কোথাও আবার গিয়ে হচ্ছে অভিনব অভিজ্ঞতা। 

Continues below advertisement

কীভাবে কী করতে হবে, তা নিয়ে অনেকেই বেশ সংশয়ে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরকম গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রক্রিয়া, যা শেষ হয়েছিল ২০০২ -এ, অর্থাৎ ২৩ বছর বাদে পশ্চিমবঙ্গে হচ্ছে, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে আরও অনেক বেশি প্রচার প্রয়োজন ছিল, হয়ত দরকার ছিল আরও বিস্তৃত প্রশিক্ষণেরও। এতে হয়ত বিষয়টা সাধারণ মানুষের কাছে জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যেত । কারও মনে কোনও প্রশ্ন না থাকে, তার জন্য আরও আগে থেকে কমিশনের তরফে সেই উদ্য়োগ নেওয়া হল না কেন, প্রশ্ন উঠছে। 

মঙ্গলবার BLO-রা যখন এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে বাড়ি বাড়ি যেতে শুরু করেছেন, তখনও ২০০২ সালের ভোটার তালিকা নিয়েই অনেকের মনে রয়ে গেছে প্রশ্ন। আবার BLO-দের একাংশ দাবি করেন, কাজের পদ্ধতি নিয়ে এখনও বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর তাঁরা পাননি! তাঁদের কাউকে কাউকে অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। যেমন কমলকুমার দাস নামে এক BLO বলছেন,  বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর পাননি। তাঁর অভিযোগ যেদিন নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তাঁদের ট্রেনিং হয়,সেদিন মিটিং শেষ হওয়ার আগেই  ERO মঞ্চ ছেড়ে চলে যান। তিনি বলছেন, 'আমরা হয়তো পাড়ায় থাকি জানতে পেরেছি উনি মারা গেছেন। কিন্তু বাড়ির লোক বলছেন, না উনি অন্য জায়গায় আছেন।' 

Continues below advertisement

এদিকে আবার মানুষের মনেও নানা প্রশ্ন। বরানগরের বাসিন্দা মহুয়া বসু বলছেন, 'আমার বাবা সরকারি চাকরি করতেন। মা এখন পেনশনার। বাবা মারা গেছেন গতবছরে। দিদি ছিলেন। আমার নাম উঠতেও পারে, নাও পারে। আমি নিশ্চিত নই ২০০২ সালের হিসেব নিয়ে। বাকি ৩ জনের নাম থাকা উচিত ছিল। তাদের কারও নাম নেই।'  সবমিলিয়ে প্রশ্ন,  এত বড় একটা প্রক্রিয়ায় এখনও এত প্রশ্ন, এত সংশয় থাকবে কেন?