কোচবিহার: কোচবিহারে সিতাই বিধানসভায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৬৩৬ ভোটে জিতল তৃণমূল। সেখানে প্রার্থী ছিলেন সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার স্ত্রী সঙ্গীতা রায়।
২০১৬ সালের পর থেকে সিতাই থেকে বার বার জয় পান বাসুনিয়া। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার আসনে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন বাসুনিয়া। বিরাট জয় পেয়েছিলেন নিশীথ প্রামানিকের বিরুদ্ধে। তারপর এই আসন বিধায়র শূন্য হয়ে যায়। সেখান থেকেই বার ঘাসফুল চিহ্নে লড়েছিলেন সঙ্গীতা। তাঁর জন্য সারা কেন্দ্রে ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচার চালিয়ে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক , তাঁর স্বামী। ফলও মিলল। বিপুল ভোটে সিতাই জেতাল সঙ্গীতা রায়কে।
এই সিতাই কেন্দ্রকে তৃণমূলের দুর্গ বলা চলে। কারণ লোকসভা নির্বাচনে নিশীথের হারের পেছনেও বিরাট ভূমিকা নিয়েছিল বাসুনিয়ার স্ট্রং গ্রাউন্ড সিতাই। শুধু সিতাই থেকেই বিরাট লিড পেয়েছিলেন বাসুনিয়া। তাই এবারও সিতাইয়ের মানুষকে ঘাসফুল চিহ্নে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করতে দোরে দোরে ঘুরেছেন সেখানকার প্রাক্তন সাংসদ। তাই স্ত্রী সঙ্গীতার জয়ের পর তিনি বললেন, এই জয় তো প্রত্যাশিতই ছিল।
নির্বাচনের দিন, সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট ছিল ঘটনাবহুল। বিভিন্ন বুথে এদিন ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল সাংসদ জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার বিরুদ্ধে। পাল্টা কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন কোচবিহারের তৃণমূল সাংসদ। উপনির্বাচনের দিন সোশাল মিডিয়ায় এই ভিডিও পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, 'সিতাই বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী, কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র (বর্মা) বসুনিয়ার স্ত্রী সঙ্গীতা রায় সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বলছেন, কাজ বন্ধ করে বসে থাকতে। তাঁরা (কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা) নিজেদের কাজ করছেন বলে, তিনি (সঙ্গীতা রায়) অত্য়ন্ত অসন্তুষ্ট। জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে ট্য়াগ করে শুভেন্দু লেখেন, 'আপনারা কি উপনির্বাচনের দায়িত্বে আছেন? নাকি তৃণমূল প্রার্থীরা দায়িত্ব নিয়েছেন?' পাল্টা জগদীশ বর্মা বসুনিয়া বলেন, 'শুভেন্দু অধিকারী ভাল করে দেখেনইনি। উনি (সঙ্গীতা রায়) সহানুভূতি দেখাচ্ছেন BSF-কে। দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না, প্রার্থী বলছে, বেঞ্চ দিই, চেয়ার দিই, বসে থেকে ডিউটিটা করুন। এটা BSF-এর প্রতি সহানুভূতি দেখানো।'
তবে ভোটে শেষ কথা বলে ইভিএমই। সেখানে শনিবাসরীয় সকাল দেখাল , মানুষের ভোট ঘাসফুলের পক্ষে।
আরও পড়ুন : সরছেন, না কি সরতে হচ্ছে? BJP কি সন্ন্যাসের পথে ঠেলে দিচ্ছে দিলীপকে? জল্পনা বাড়ল তাঁরই মন্তব্যে