কলকাতা: সংসদে তাণ্ডবের মাস্টারমাইন্ড ধৃত ললিত ঝা'র মা-বাবার খোঁজ পেল এবিপি।বিহারের দ্বারভাঙায় ললিতের পৈতৃক বাড়ি। 'আমার ছেলে নির্দোষ, কোচিং সেন্টারে পড়ায়, ১০ ডিসেম্বর আমাদের দ্বারভাঙার ট্রেনে তুলে দিয়েছিল ছেলে। আমরা কেউই কিছু জানতাম না', ন্যায়বিচার চেয়ে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব, জানালেন ললিতের মা-বাবা।'
সংসদে (Parliament Security Breach) স্মোক ক্যান নিয়ে তাণ্ডবের ঘটনায় ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে বাংলার (Bengal Connection) যোগ। ওই ঘটনায় অন্যতম সন্দেহভাজন ললিত ঝা ভাড়া থাকতেন বড়বাজারে। টিভিতে সংসদে স্মোক বম্ব নিয়ে তাণ্ডবের খবর দেখে তাঁকে শনাক্ত করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সেটির ঠিকানা ২১৮, রবীন্দ্র সরণী। এই বাড়িতেই একতলার একটি ঘরে ভাড়া থাকতেন তিনি। যখন ছিলেন তখন স্থানীয় কিছু বাচ্চাকে পড়াতেন ললিত, তারপর বছর দেড়েক আগে হঠাৎ চলে যান। এখন সেই দরজায় তালা বন্ধ করা হয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা নীলেশ বলেন, 'এখানে কোণার একটা ঘরে থাকত। ওই ঘরে পড়াত ওই ছেলেটা। বাচ্চারা আসত দেখতাম, বই নিয়ে আসত। জোরে পড়ত শুনতে পেতাম- তাই বুঝেছিলাম যে পড়ান।' কিন্তু ললিত একা থাকতেন কিনা, কারও সঙ্গে কথা বলতেন কিনা তা অবশ্য বলতে পারেননি ওই বাসিন্দা। এবিপি-র প্রতিনিধি ওই ব্যক্তিকে ললিতের ছবি দেখানোর পর এক দেখাতেই ললিতকে শনাক্ত করেন ওই ব্যক্তি। ওই ললিতই এখানে ছিলেন বলে জানান তিনি।এখানে ভাড়া থাকতেন ললিত ঝা (Lalit Jha)। কিন্তু কীভাবে ভাড়া পেলেন তিনি? কারণ এই বাড়ির মালিক এখন দিল্লিতে থাকেন, ওই বাড়িতে যাঁরা ভাড়া থাকেন তাঁরা অনলাইনে বাড়ির মালিককে টাকা পাঠান। ললিত কার মাধ্য়মে ভাড়া পেয়েছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
সংসদে তাণ্ডব কাণ্ডে ধৃত ললিত ঝা-কে জেরায় উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। হয় 'প্ল্যান এ' নয় 'প্ল্যান বি', রীতিমতো প্রস্তুতি নিয়ে সংসদে তাণ্ডবে নেমেছিলেন স্মোক-কাণ্ডের হামলাকারীরা ! সংসদে অশান্তির ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা-কে জেরায় এমনই বিস্ফোরক তথ্য মিলেছে বলে দাবি করল পুলিশ।তদন্তকারীদের দাবি, তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে সহযোগীদের মোবাইল ফোন পুড়িয়ে দিয়েছিলেন ধৃত মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা।
আরও পড়ুন, ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের প্রস্তুতি আজ থেকেই শুরু, শোভাযাত্রা সাধু-সন্ন্যাসীদের
২০০১ সালের সংসদ হামলার ২২ বছর পূর্তির দিনেই বুধবার, ফের আতঙ্কের সাক্ষী থেকেছে দেশের আইনসভা। লোকসভার ভিতরে দর্শক হিসেবে ঢুকে নিরস্র হলেও, কালার স্মোক স্প্রে করে হুলস্থুল বাধিয়ে দেয় দুই যুবক। বাইরে আরও এক যুবক ও এক তরুণী। মুখে ছিল - 'ভারত মাতা কী জয়' স্লোগান। পুলিশ যখন তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে, তখন সংসদে অশান্তির ঘটনায় মূল চক্রী নিজেই এসে থানায় আত্মসমর্পণ করেন।