Snana Yatra 2022 :  আষাঢ় মানেই রথযাত্রা। বারো মাসে তেরো পার্বণের এক পার্বণ। রথযাত্রার চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় স্নানযাত্রার দিন। মঙ্গলবার জগন্নাথদেবের সেই স্নানযাত্রা। 



পুরীর স্নানযাত্রা : 
আষাঢ় মাস মানেই রথযাত্রা। তার আগে জ্যৈষ্ঠ শেষে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা ( Birthday of Lord Jagannath )। করোনা আবহে ২ বছর বন্ধ থাকার পর, এবার বিধিনিষেধ না থাকায় স্নানযাত্রার দিনেই পুরীতে পুণ্যার্থীদের ভিড়। সেজে উঠেছে পুরীর মন্দির। সকালে গর্ভগৃহ থেকে শোভাযাত্রা সহকারে স্নান মণ্ডপে আনা হয় জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে। সেখানে ১০৮ ঘড়া জলে স্নান করানো হবে বিগ্রহকে। এরপর ১৫ দিনের বিশ্রাম পর্ব। রথযাত্রার দিন ফের দর্শন মিলবে জগন্নাথদেবের।


মাহেশে জগন্নাথের স্নানযাত্রা
৬২৬ বছরে পা দিল হুগলির মাহেশে জগন্নাথের স্নানযাত্রা। পুরীতে যেমন ১২ বছর অন্তর নব কলেবর হয়, মাহেশে বিগ্রহের কোনও পরিবর্তন করা হয় না। এতবছর ধরে একই বিগ্রহকে পুজো করা হচ্ছে। আজ সকালে গর্ভগৃহ থেকে বের করে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে মন্দিরের বারান্দায় রাখা হয়। এইদিন বিগ্রহকে স্পর্শ করা যায়। করোনা আবহে যা গত ২ বছর বন্ধ ছিল। এবার সকাল থেকে উপচে পড়া ভিড় পুণ্যার্থীদের। দুপুর ১টা নাগাদ জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে নিয়ে যাওয়া হবে মন্দির সংলগ্ন মাঠে স্নানমঞ্চে। স্কন্দপুরাণ অনুসারে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন জগন্নাথ দেবের কাঠের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করে। তখন থেকে এই স্নান যাত্রা উৎসব শুরু। ভক্তদের বিশ্বাস, 


স্নানের পর জগন্নাথের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। লেপ কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেন জগন্নাথদেব। এই সময় হয় অঙ্গরাগ। ভেষজ রঙ দিয়ে জগন্নাথ দেবকে রাঙানো হয়। গর্ভগৃহের দরজা বন্ধ থাকে। কবিরাজের পাঁচন খেয়ে জ্বর ছাড়লে হয় নবযৌবন উৎসব। পরদিন রথে চেপে মাসির বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা। 


জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উপলক্ষে হুগলির মাহেশে কড়া নিরাপত্তা। ২ দিন আগে পানিহাটির দণ্ড মহোত্সবে দুর্ঘটনায় ৩ পুণ্যার্থীর মৃত্যুর কথা মাথায় রেখে, মাহেশে স্নানমঞ্চের মাঠ ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনের জন্য ব্যারিকেডের মাঝখান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী রাস্তা। প্রস্তুত রাখা হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স ও দমকল। থাকছেন চিকিত্সকরা। 


কালীঘাটে স্নানযাত্রা
কালীঘাটেও এদিন কালী মায়ের স্নানযাত্রা উত্সব হয়। সেই কারণে আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত মন্দিরে ভক্তদের ঢোকা নিষেধ। গর্ভগৃহ বন্ধ করে মা কালীকে মহাস্নান করান সেবায়েতরা।