সোনারপুর: দিদিমা-ভাইকে খুন, সেপটিক ট্যাঙ্কে মিলল হাড়গোড়! প্রায় ১ মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই দু-জন। এ দিন হঠাৎই তাঁদের দেহ মিলল সিল করা সেপটিক ট্যাঙ্কে!  সোনারপুরে নাতনি ও নাত-জামাইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে। স্বামীর সঙ্গে মিলে দিদিমা ও মামাতো ভাইকে খুনের অভিযোগ উঠেছে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে। দুর্গাপুজোর পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন দু'জন। অভিযুক্ত নাতনি ও নাত-জামাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সম্ভবত সম্পত্তির লোভেই দিদিমা ও মামাতো ভাইকে খুন বলে সন্দেহ পুলিশের। 


পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার: সপ্তাহজুড়ে একাধিক দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে শহরে। এক্সকারশনে গিয়ে রহস্যমৃত্যু আশুতোষ কলেজের পড়ুয়া। তারাশঙ্কর সরকারের। তিনদিনের মাথায় মিলল দেহ। মঙ্গলবার আশুতোষ কলেজের ৩৮ জন পড়ুয়াকে নিয়ে ঝাড়খণ্ডের কিরিবুরু লোহা খনিতে গিয়েছিলেন পাঁচ অধ্যাপক। বেড়াতে যাওয়ার জন্য সোমবার রাতে যাদবপুরে এক বন্ধুর বাড়িতে থেকে গিয়েছিলেন তারাশঙ্কর। ট্যুর শেষের পর, বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফেরার ট্রেন ছিল। পরিবারের দাবি, বন্ধুরা জানান, স্টেশনে ফেরার পথে কেওনঝড়ের কুণ্ডুলি ড্যামে ট্রেন দাঁড়ায়। সেলফি তুলতে গিয়ে জলে পড়ে যান দুই ছাত্র। একজনকে উদ্ধার করা গেলেও, সাঁতার না জানায় তলিয়ে যান তারাশঙ্কর। বন্ধুরা জানান বলে দাবি মৃত ছাত্রের পরিবারের।


মেট্রোর সুড়ঙ্গে দেহ উদ্ধার: রবীন্দ্র সরোবর ও টালিগঞ্জ স্টেশনের মাঝে মেট্রোর সুড়ঙ্গে মাঝবয়সী ব্যক্তির দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য। আজ সকালে দুটি মাঝে ডাউন লাইনে একজনের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ৯টা ৪৭ মিনিটে বিষয়টি দক্ষিণেশ্বর থেকে নিউ গড়িয়াগামী মেট্রোর মোটরম্য়ানের নজরে আসে। সকাল ১০টা ৩ থেকে রবীন্দ্র সরোবর থেকে নিউ গড়িয়া পর্যন্ত আপ ও ডাউন লাইনে বন্ধ ছিল মেট্রো চলাচল। একঘণ্টা পর ১০টা ৫৯ মিনিটে পরিষেবা ফের স্বাভাবিক হয়। কিন্তু মেট্রোর সুরক্ষা বলয় এড়িয়ে কীভাবে সুড়ঙ্গে ঢুকে গেলেন ওই ব্যক্তি? এই ঘটনায় মেট্রোর সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ব্যস্ত অফিস টাইমে এই ঘটনার জেরে দুর্ভোগের শিকার হন মেট্রো যাত্রীরা। 


বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে দেহ উদ্ধার: খড়দায় বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল একই পরিবারের ৪ জনের পচা-গলা দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্ত্রী দেবশ্রী কর্মকার, ১৬ বছরের মেয়ে ও ৮ বছরের ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী। উদ্ধার হয়েছে গৃহকর্তার বয়ানে লেখা একটি সুইসাইড নোট। পুলিশ সূত্রে খবর, তাতে লেখা রয়েছে, স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক মানতে পারিনি। তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম।