রঞ্জিত হালদার, সোনারপুর: পুরানো শত্রুতার বদলা নিতেই পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে প্রধানের উপর হামলার গুরুতর অভিযোগ উঠল। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত ব্যাক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলার চেষ্টা করে পঞ্চায়েত প্রধানের ওপর।
ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুরের কালিকাপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েতের প্রধান মাধব মন্ডলের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন প্রধান। সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পঞ্চায়েত অফিসে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের চেষ্টায় কোনক্রমে বড় ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমে দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে এই দুই অভিযুক্ত সুব্রত হালদার ও দিলীপ মন্ডল ২০১৬ সালে কালিকাপুর রামকমল স্কুলে এক শিক্ষককে পেটানোর ঘটনায় যুক্ত ছিলেন। সেইসময় তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেন এলাকার প্রধান মাধব মন্ডল। তারই বদলা নিতেই এই হামলা বলে তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে পুলিশ।
অন্যদিকে, মালদায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তৃণমূল নেতাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। তকাল রাতে ওই ঘটনা ঘটে চাঁচোলের খানপুরে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, চন্দ্রপাড়ার অঞ্চল সহ সভাপতি সেতাবুর রহমানকে গতকাল রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় কয়েকজন।
অভিযোগ, ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয় সেতাবুরের। পরিবারের দাবি, আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন করা হয়েছে তৃণমূল নেতাকে। যদিও কী কারণে খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আবার, হুগলির চণ্ডীতলায় এক প্রৌঢ়কে ঘুষি মেরে খুনের অভিযোগ তাঁরই বন্ধুর বিরুদ্ধে। গতকাল রাত ৮টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, চণ্ডীতলার ভগবতীপুরে এলাকার চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন দুই বন্ধু শেখ রিয়াজুল হক ও আব্দুল সুকুর। আচমকাই দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি থেকে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, আচমকাই রিয়াজুলকে ঘুষি মারেন সুকুর। সংজ্ঞা হারিয়ে পড়ে যান রিয়াজুস। তাঁকে চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পরই মৃতের প্রতিবেশীরা ওই চায়ের দোকান ও অভিযুক্তর বাড়িতে ভাঙচুর চালান। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত।