রঞ্জিত হালদার, সোনারপুর: তৃণমূল কাউন্সিলরকে বিয়ের প্রস্তাব তৃণমূলেরই যুবনেতার, রাজি না হওয়ায় হুমকির অভিযোগ। বাড়িতে ঢুকে মত্ত অবস্থায় কাউন্সিলরের মা-বাবাকেও গালিগালাজের অভিযোগ। রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া হালদারের বাড়িতে গিয়ে হুমকির অভিযোগ। তৃণমূল নেতা প্রতীক দে-র বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ। বাড়ি থেকে বেরোলে শারীরিক হেনস্থার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কাউন্সিলর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যুব তৃণমূল নেতা।
অভিযোগকারী কাউন্সিলর বলছেন, 'শুধুমাত্র তার বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্য়ান করেছি এবং তার কিছু তোলাবাজির বিরুদ্ধে কথা বলেছি, তার জন্য আমাকে যদি বারংবার করে তার ও সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে বারংবার করে বলা হয়, পদত্য়াগ করতে হবে, পদত্যাগ করতে হবে। আমার মানুষের কাছে একটাই প্রশ্ন, আমাকে পদত্যাগ কেন করতে হবে?' পাশাপাশি তিনি এও জানান, বহুদিন ধরেই তাঁকে বিরক্ত করছিলেন ওই ব্যক্তি। এমন কী, অন্য়দের কাছে বিবাহিতা স্ত্রী বলেও পরিচয় দিয়েছেন।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে, রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল তৃণমূল নেতা প্রতীক দে-র। তাঁকে বিবাহের প্রস্তাব দেয় তা অস্বীকার করায় এই হুমকি বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় ঘটনার পর থেকে বাড়ির বাইরে বের হলে শারীরিক হেনস্থা করারও হুমকি হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে কাউন্সিলর এবং তার পরিবারের মধ্যে।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই বিজেপি কর্মীকে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গাছে পিঠ মোড়া দিয়ে বাঁধার হুমকি দেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর গাড়াপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য়া সীমা পাণ্ডে শর্মার স্বামী অভিজিৎ শর্মার বিরুদ্ধে ২ বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, রবিবার রাতে দলীয় কর্মসূচি সেরে ফেরার পথে প্রণব ঘোষ এবং তন্ময় বিশ্বাস নামে ২ বিজেপি কর্মীর উপর অতর্কিতে হামলা করেন অভিজিৎ শর্মা। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার কলমবাগান বাজার এলাকায় বনগাঁ-বাগদা রাজ্য় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে বনগাঁ থানা ঘেরাওয়েরও ডাক দিয়েছেন দেবদাস মণ্ডল। যদিও বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত।