গৌতম মণ্ডল, ডায়মন্ড হারবার : ২০১৭-য় ডায়মন্ড হারবার পুরসভায় (Diamond Harbour Municipality) ১৭ জন স্থায়ী কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগ উঠল ! অভিযোগকারী ডায়মন্ড হারবার নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক দেবাশিস চৌধুরীর দাবি, পুর নিয়োগের পরীক্ষায় প্রশ্ন তৈরি-সহ বিভিন্ন দায়িত্বে ছিল ধৃত অয়ন শীলের কোম্পানি-ABS ইনফোজোন। যদিও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান।


পুরসভার কর্মী নিয়োগে সীমাহীন দুর্নীতি ও জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি চাই। বেআইনি নিয়োগ বাতিল করে স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত পদ্ধতিতে পুরকর্মী নিয়োগের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হন। নীচে লেখা-নাগরিক কমিটি, ডায়মন্ডহারবার। এই লিফলেটের বয়স আজ ৫ বছর। যখন বঙ্গের আকাশে-বাতাসে 'নিয়োগে দুর্নীতি' কথাটার আমদানি হয়নি। অর্থাৎ ৫ বছর আগেও পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। নেপথ্যে সেই নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের কোম্পানি ABS ইনফোজোন।


ডায়মন্ডহারবার নাগরিক কমিটির, আহ্বায়ক দেবাশিস চৌধুরীর দাবি, ২০১৬-র ডিসেম্বরে ডায়মন্ডহারবার পুরসভায় ২২টি শূন্যপদে স্থায়ী কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। ২০১৭ সালে ১৭ জনের তালিকাও প্রকাশিত হয়।

ডায়মন্ডহারবার নাগরিক কমিটির দাবি, প্রশ্ন তৈরি থেকে পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায় ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের কোম্পানি-ABS ইনফোজোন।

পরবর্তীকালে দায়িত্ব যায় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীন ডিরেক্টর অফ লোকাল বডির উপর। সেই সময়ই, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা নিয়ে সরব হয় ডায়মন্ডহারবার নাগরিক কমিটি। প্রতিবাদে এলাকায় লিফলেট বিলি করা হয়। কমিটির তরফে মুখ্যমন্ত্রী, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর, ডায়মন্ড হারবার পুরসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে আদালতের দ্বারস্থ হন কমিটির আহ্বায়ক। পুরসভার কাছে RTI করে একাধিক প্রশ্ন জানতে চাইলেও, তাঁর অভিযোগ, কমিটির দাবি সদুত্তর মেলেনি।


ডায়মন্ড হারবার নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক দেবাশিস চৌধুরী বলেন,  কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।

ডায়মন্ডহারবার পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান যখন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন, তখন বিষয়টি জানা নেই বলে দায় এড়িয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান। তৎকালীন ডায়মন্ড হারবার পুরসভার চেয়ারম্যান মীরা হালদারের দাবি, কোনও দুর্নীতি হয়নি। অন্যদিকে, বর্তমান চেয়ারম্যান প্রণব দাস বলছেন, আমার জানা নেই। দুর্নীতির মুখোমুখি হতে রাজি।

নিয়োগ দুর্নীতির ভাইরাস ছড়িয়েছিল রাজ্যের অন্তত ৬০টি পুরসভায় ! যার অন্যতম সূত্রধর ছিলেন প্রোমোটার অয়ন শীল !ডায়মন্ডহারবার পুরসভায় অভিযোগ উঠেছে আগেই। এখন প্রশ্ন হল, তবে আর কোন কোন পুরসভায় দুর্নীতির জাল ছড়িয়েছিলেন তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায় ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল ?