ভাঙড় : পুলিশের সামনেই মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা। গুলিও চলে বলে অভিযোগ। মনোনয়নের চতুর্থ দিনে ভাঙড়জুড়ে শুধুই ভয়ের ছবি ধরা পড়ে গতকাল ! এক আইএসএফ প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হন বলে দাবি। আহত একাধিক আইএসএফ কর্মী। রক্ত ঝরে পুলিশেরও। ভাঙড়ে এই অশান্তির দায় নৌশাদ সিদ্দিকির (Naushad Siddiqui) উপর চাপালেন আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam)। ' পরিকল্পনা করে ভাঙড়ে অশান্তি করা হয়েছে।' ভাঙড়ে শান্তি ফেরাতে তাই অবিলম্বে নৌশাদকে গ্রেফতারের দাবি জানান আরাবুল।


আরাবুল দাবি জানান, বোমা, গুলি চালিয়েছে নৌশাদ বাহিনী। বাইরে থেকে দুষ্কৃতী এনে এলাকা দখলের চেষ্টা করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের ২-৩ দিন ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরপরেই তাণ্ডব চালায় বহিরাগতরা। শতাধিক বাইক ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলায় ১৭ জন আহত এবং ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। যেভাবে বোমা, গুলি চালানো হয়েছে তাতে মানুষ আতঙ্কিত। তাই ভাঙড়ের সবথেকে বড় অপরাধী নৌশাদ সিদ্দিকি, এমনই অভিযোগ করছেন আরাবুল।


মুহূর্মুহূ পড়ল বোমা, লাগাতার ইটবৃষ্টি, গুলি চলার অভিযোগ। আক্রমণের মুখে পিছু হঠল পুলিশ। আর এই ছবি সামনে আসার পরই উঠে আসছে ৩ 'ভ'-এর গা ছমছম করা গল্প ! 'ভ'-এ ভাঙড়, 'ভ'-এ ভয়, 'ভ'-এ ভয়ঙ্কর। মনোনয়ন ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। তৃণমূল ও ISF-এর মধ্য়ে তুমুল সংঘর্ষ হল দিনভর। তৃণমূলের ছোড়া গুলিতে এক আইএসএফ প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হন বলে দাবি। হামলার মুখে পিছু হঠে পালাতে শুরু করে পুলিশ। তখন পিছন থেকে ধেয়ে আসে আরও বোমা। এই অশান্তির মধ্য়েই ভাঙড়ে আরাবুল ইসলাম সহ ৩ তৃণমূল নেতার গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। কাঠের গুঁড়ি ফেলে আটকে দেওয়া হয় রাস্তা।আইএসএফ-এর পাশাপাশি তৃণমূলেরও অভিযোগ, হামলা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তাঁদের এক কর্মী। 


ভাঙড়ের ঘটনায় জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন।


এদিকে ভাঙড় জুড়ে যেন বোমার সংস্কৃতি  ! তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের ছেলে যে গা়ড়িতে চেপে ঘুরে বেড়ায়, সেই গাড়ির ড্য়াশবোর্ড থেকে উদ্ধার হয় তাজা বোমা। অপর এক তৃণমূল নেতার গাড়ি থেকেও উদ্ধার হয় বোমা। কে রাখল ? তা নিয়ে ধোঁয়াশা। নেপথ্য়ে রয়েছে আইএসএফ, এমনই অভিযোগ জানান আরাবুল।


আরও পড়ুন ; 'বলছি তো পরে বলব, যান তো' উত্তপ্ত ভাঙড় নিয়ে এবিপি আনন্দর-র প্রশ্নে মেজাজ হারালেন আরাবুল