পার্থপ্রতিম ঘোষ, কুলতলি(দক্ষিণ ২৪ পরগনা) : কুলতলির (Kultali) ডোঙ্গাজোড়া গ্রামে শেখপাড়ার জঙ্গলে বাঘ (Tiger)। গত চার দিন ধরে বাঘের(Tiger) আতঙ্কে(Panic) ত্রস্ত স্থানীয়রা। ক্ষুধার্থ বাঘ নিয়ে ঘুম উড়েছে তাঁদের। সন্ধে নাগাদ ডোঙাজোড়ার জঙ্গলে খাঁচা পাতার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এখানে যে বাঘ রয়েছে, তা একেবারে নিশ্চিত স্থানীয়রা। 


এডিএফও জানান, খাঁচা চলে এসেছে। দুই ভিন্ন দিকে খাঁচা(Cage) লাগানো হচ্ছে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে আধঘণ্টা লাগবে। এখনও পর্যন্ত পায়ের যে ছাপ দেখা গেছে, তাতে একটি বাঘই রয়েছে। 


আরও পড়ুন ; কেল্লার জঙ্গলের পর ডোঙ্গাজোড়া গ্রাম! মিলল পায়ের ছাপ, চারদিন ধরে লুকোচুরি রয়্যাল বেঙ্গলের


ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করছে বাঘটি। এদিকে বাঘের আক্রমণে জখম বলে দাবি এক গ্রামবাসীর। যদিও পুলিশের দাবি, বাঘের গর্জনে ভয় পেয়ে গাছ থেকে পড়ে আহত হন ওই ব্যক্তি। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বাঘ ক্ষুধার্থ হয়ে আছে। গত চারদিন ধরে এখান থেকে ওখান চলে যাচ্ছে। 


বন দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে আজ স্থানীয় তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে বন কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী। গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে বন দফতর। বাঘের সন্ধান পেতে স্পিড বোটে চড়ে চলে নজরদারি। বন দফতরের তরফে মাইকে প্রচার করে আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়। এরই মধ্যে শেখপাড়ার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এক গ্রামবাসীকে আক্রমণ করে বাঘ। 


পায়ের ছাপ, গর্জন, জানান দিচ্ছিল কুলতলিতে লোকালয়ের আশেপাশেই রয়েছে বাঘ। কিন্তু চারদিন পরেও খাঁচাবন্দি হয়নি। বন দফতরের তরফে দুটি খাঁচা পাতা হয়েছে। বন দফতরের অনুমান ছিল, কেল্লার জঙ্গলেই লুকিয়ে রয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল। তাই গরানকাঠির ডোঙ্গাজোড়া গ্রাম লাগোয়া ওই জঙ্গলে তার ছাপ খুঁজতে শুরু করেন বন দফতরের কর্মীরা। স্পিড বোটে চড়েও চলে নজরদারি। বন দফতরের তরফে আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়।