গৌতম মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: একে পূর্ণিমা (purnima) তিথি, এর ওপর আজ থেকে শুরু হয়েছে ষাঁড়াষাঁড়ির কোটাল। এই কোটালের জেরে সুন্দরবনের নদী ও সমুদ্রে অস্বাভাবিক জলস্তর বৃদ্ধি পাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সেচ দফতর। 



ষাঁড়াষাঁড়ি বান সুন্দরবনের (Sunderban) বাসিন্দাদের কাছে নতুন কিছু নয়। যদিও সেচ দফতরের তরফে বলা হয়েছে, প্রায় কুড়ি ফুট উচ্চতায় বাড়তে পারে জল। যার জেরে আজ থেকে টানা তিন দিন শনিবার পর্যন্ত কাকদ্বীপ ও সাগরের কচুবেড়িয়ার মধ্যে চলাচলকারী বার্জ বন্ধ থাকার নোটিশ (notice) দেওয়া হয়েছে।                                       


এই বার্জগুলিতে বিভিন্ন রকম গাড়ি পারাপার করানো হয়। তবে সাধারণ যাত্রী ভেসেল পরিষেবা চালু থাকবে। অন্যদিকে জলস্তর বৃদ্ধির ফলে আশঙ্কিত সুন্দরবনের নামখানা, সাগর, পাথরপ্রতিমা, মথুরাপুরের নদী ও সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। বেহাল বাঁধ উপচে আবারও নোনা জলে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বহু এলাকায় বাঁধের বিস্তীর্ণ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তড়িঘড়ি মেরামত হয়েছে বেশ কিছু বাঁধ। কিছু কাজ এখনও বাকি। 


ইতিমধ্যে এই কোটাল মোকাবিলার জন্য সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজারা, জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা সহ আধিকারিকরার গত শনিবার জরুরী বৈঠক করেছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সেচ দফতরের কর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। 


আরও পড়ুন, ইডি-র তদন্ত ও তল্লাশি আদালতের নজরদারিতে আনার আবেদন, কোর্টের দ্বারস্থ অভিষেক


উত্তর বঙ্গোপসাগরে ও সংলগ্ন পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে ঘূর্ণাবর্ত। উত্তর-পূর্ব বিহার থেকে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা তৈরি। মৌসুমী অক্ষরেখা হিমালয়ের পাদদেশ এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী অক্ষরেখার পূবের অংশ শনিবার দক্ষিণবঙ্গের দিকে এগোবে।


আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তির চরমে উঠবে। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের দুই থেকে তিন ডিগ্রি বেশি থাকবে। তাপমাত্রার সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি অনেকটাই বাড়বে। শুক্রবার বিকেলের পর থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে উপকূলের জেলায়। শনিবার থেকে মঙ্গলবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। উপকূলের জেলাগুলিতে রবিবার দু এক পশলা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।