গৌতম মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতো বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে একাধিক জেলায়। এদিকে, হঠাৎ ঝড় বৃষ্টির মধ্যে বজ্রপাতে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। গুরুতর জখম অবস্থায় আরও এক মহিলাকে রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। 

ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রায়দিঘি থানার ২৩ নম্বর লাট এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত জয়ন্ত মন্ডল (৩৯) স্থানীয় বাড়ি ভাঙা আবাদ এলাকার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, দুপুরে জমিতে ধান তোলার সময় আচমকা ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির মধ্যেই বাজ পড়ে গুরুতর জখম হয় জয়ন্ত ও তার মহিলা আত্মীয়। সকলেই অচৈতন্য অবস্থায় মাঠে পড়েছিল। 

দীর্ঘক্ষণ পর স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে রায়দিঘি হাসপাতালে নিয়ে এলে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। বাকি এক মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এদিকে শুক্রবার চার জেলায় কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়া জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতি ঘন্টায় গতিবেগে দমকা ঝড়ো বাতাস বইবে।                                              

শনিবারেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব মেদিনীপুর পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম পুরুলিয়া বাঁকুড়া জেলাতে। এর পরেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে। তবে তার প্রভাব অনেকটা কমবে। 

সম্প্রতি বজ্রপাতের সময় জমিতে থাকাকালীন বিহারে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। আহত হয়েছে বেশ কয়েক জন। চার বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার এমন চরম আবহাওয়া দেখা গেল। যার জেরে একদিনে এত বেশি সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ২০২০ সালের জুন মাসে, পূর্ব বিহারে একদিনে  মারাত্মক বজ্রপাতের ঘটনায় ৯০ জনেরও বেশি মানুষ, যাদের বেশিরভাগই দরিদ্র কৃষক ছিলেন। সেই সময় বর্ষার বৃষ্টি দেখে উৎসাহিত হয়ে গ্রামবাসীরা তাদের জমিতে কাজ করার সময় পরপর বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে, যার ফলে পুরো এলাকায় বিপর্যয় নেমে আসে