জয়দীপ হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগণা: মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Examination) দিতে যাওয়ার পথে সাংঘাতিক দুর্ঘটনা। দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Paraganas) উস্তির উত্তরকুসুমের কারবালার বাসিন্দা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। যদিও ওই ছাত্রীকে অবশেষে হাসপাতাল থেকেই পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। সহায়তায় এগিয়ে আসেন উস্তি থানার পুলিশ, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পর্ষদ কর্তৃপক্ষ।
ঠিক কী ঘটে এদিন? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মামার বাইকে করে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার আগে উস্তি থানার কেঁশলী এলাকায় একটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়ে বাইকটি ধাক্কা মারে একটি গাছে। দুর্ঘটনায় বেশ আহত হয় ওই ছাত্রী। গুরুতর জখম অবস্থায় পরীক্ষার্থীকে স্থানীয়রা বানেশ্বরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। এরপর ছাত্রীর অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। চিকিৎসকরা তখন তাকে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।
কিন্তু মাধ্যমিক তো জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। সেই পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথেই এমন দুর্ঘটনা। তাহলে পরীক্ষার কী হবে? ছাত্রীর এমন অবস্থার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পৌঁছে যান স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। তাঁরা চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন। পড়ুয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নেন। তারপর হাসপাতালেই ওই ছাত্রীর পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ছাত্রীর অভিভাবক।
আরও পড়ুন: Babul Supriyo : ‘ কোনও বাঙালি কি কেন্দ্রের পূর্ণমন্ত্রী হতে পারেন না? ' প্রশ্ন তুললেন বাবুল
অন্যদিকে স্কুলে যাওয়ার পথে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে পিষে দিল আটা বোঝাই একটি লরি। আজ সকালে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) গাংনাপুর থানা (Gangnapur Police Station) এলাকার আঁইসমালী বেলেআটিপাড়া অঞ্চলে। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে মোমিন মণ্ডলের (৯)। এই দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা ঘাতক লরিটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে রানাঘাট (Ranaghat) থেকে দমকলের (Fire Department) একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। ঘাতক লরি ও লরি চালককে আটক করেছে গাংনাপুর থানার পুলিশ।