সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ফের বাঘের (Royal Bengal Tiger) আতঙ্ক দক্ষিণ ২৪ পরগনার  (South 24 Paraganas) কুলতলিতে (Kultali)। মৎস্যজীবীদের (Fishermen) দাবি, মাতলা নদী বাঁধ লাগোয়া গায়েনের চক এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গেছে। একথা জানাজানি হতে, এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। গ্রামবাসীরা পুলিশ ও বন দফতরে খবর দেন।প্রশাসনের তরফে মাইকে প্রচার করা হয়। আতঙ্কে মশাল জ্বালিয়ে রাত পাহারায় নামেন গ্রামবাসীরা।  বাঘ না অন্য কোনও পশুর পায়ের ছাপ? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও বন দফতর।


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বাঘ ঢুকে পড়েছিল কুলতলীরই  মৈপীঠের গ্রামে।   দিনভর উৎকণ্ঠার পর  অবশেষে খাঁচাবন্দি করা হয় রয়্যাল বেঙ্গলকে। বাঘকে খাঁচাবন্দি দেখে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন ভুবনেশ্বরীর গ্রামের  বাসিন্দারা।বাঘের দেখা পাওযার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দক্ষিণ রায়ের বাহনকে দেখতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৈপীঠের ভুবনেশ্বরী গ্রামে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। ঘটনার দিন ভোরে একঝলক দেখা দিয়েই পাক ধান খেতের মধ্যে মিশে গিয়েছিল হলুদ-ডোরাকাটা শরীরটা।কয়েকজন গ্রামবাসীর কাছ থেকে বাঘের খবর পেয়েই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে গোটা গ্রাম। জল আর জঙ্গলে ঘেরা সুন্দরবনের এই লোকালয়ে রয়্যাল বেঙ্গলের উপস্থিতির কথা জানতে পেরেই তড়িঘড়ি চলে আসে বন দফতর ও পুলিশ।শুরু হয় বাঘকে বাগে আনার তোড়জোড়।পাতা হয় ফাঁদ। জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় ধানের খেত।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে উদ্বেগ। কোথায় আছে বাঘ? কখন ধরা পড়বে?


এই নিয়ে যখন দুশ্চিন্তায় গ্রামবাসীরা, তখনই দেখা গেল ফাঁদে পা দিয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল।বন্দি হয়েছে বন দফতরের পাতা দ্বিতীয় খাঁচায়।এদিকে, বাঘ দেখতে আশপাশ থেকে ছুটে আসে আরও লোকজন। এলাকায় তখন থিকথিকে ভিড়।আর এই ঘটনায় বন দফতরের ভূমিকার প্রশংসা করেন ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞরা।বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল যে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর পূর্ণবয়স্ক বাঘটিকে ছাড়া হবে।