শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: উপনির্বাচনে গোসাবার মানুষ তাঁর দলকে ভোট দেবেন না। মনোনয়ন জমা দিতে এসে এমনই মন্তব্য করলেন খোদ গোসাবার আরএসপি প্রার্থী। তৃণমূলের দাবি, বাসন্তীতে আরও খারাপ ফল হবে বাম শরিকের। যদিও আরএসপি নেতৃত্বের দাবি, প্রার্থীর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে।
গোসাবার আরএসপি প্রার্থী অনিলচন্দ্র মণ্ডল বলেছেন, যেহেতু বাংলায় সবাই তৃণমূল, গোসাবার জনগণ একমাত্র আরএসপি-কে ভোট দেবে এটা কাম্য নয়, আশা করা যায় না...এর বেশি নয়।
Coochbehar: জেলা তৃণমূল সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়কের, তুঙ্গে জল্পনা
৩০ অক্টোবর গোসাবায় উপনির্বাচন।তৃণমূলের দখলে থাকা গোসাবায়, আদৌ ভোট পাবেন কি না, তা নিয়েই এখন থেকেই সন্দেহ প্রকাশ করলেন আরএসপি প্রার্থী। মঙ্গলবার গোসাবার আরএসপি প্রার্থী অনিলচন্দ্র মণ্ডল মনোনয়ন পেশ করেন। সেখানেই তাঁর এমন হতাশাব্যঞ্জক মন্তব্য।
তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের অডিট রিপোর্টে সাড়ে চার কোটি টাকার দুর্নীতি-বিতর্ক
১৯৬৯ থেকে ২০১১ - ৪২ বছর ধরে বাম শরিক আরএসপির দখলে ছিল গোসাবা।২০১১ থেকে আরএসপি-র ভোট ক্রমশ কমছে গোসাবায়।এবার বিধানসভা ভোটে অনিলচন্দ্র মণ্ডল প্রার্থী হলেও, মাত্র ২.৪৯ শতাংশ ভোট পান।উপনির্বাচনের আগে কার্যত হাল ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন আরএসপি প্রার্থী। তিনি বলেছেন, উপনির্বাচনে সাধারণত শাসক দলের বিরুদ্ধে জনমত খুব একটা যায় না,যেহেতু বাংলায় সবাই তৃণমূল,গোসাবার জনগণ একমাত্র আরএসপিকে ভোটে দেবে এটা কাম্য নয়, আশা করা যায় না।
গোসাবারতৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মণ্ডলের কটাক্ষ, গতবার উনি দাঁড়িয়েছিলেন, যা ভোট পেয়েছিলেন আরও পিছিয়ে যাবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। হারবেন বুঝে একথা বলছেন, তৃণমূল ৭০ হাজারের বেশি ভোটে জিতবে।
যদিও আরএসপি নেতৃত্বের দাবি, প্রার্থীর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। আরএসপি নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী সুভাষ নস্কর বলেছেন, উনি এভাবে কথা বলতে চাননি, বোঝাতে চেয়েছেন উপনির্বাচন হলে কীরকম ট্রেন্ড থাকে, আমরা ভাল লড়াই দেব।
জলে-জঙ্গলে ঘেঁষা গোসাবায় শেষ হাসি কে হাসে তা জানা যাবে ২ নভেম্বর।