রঞ্জিত হালদার, দীপক ঘোষ ও সমিত সেনগুপ্ত, বারুইপুর (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) : ব্যাঙ্কে ঢুকে দাদাগিরি তৃণমূল নেতার! দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীকে চড় তৃণমূল নেতার! ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, কয়েকদিন আগে হরিহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা রাবিয়া বাঁশুরি এবং তার স্বামী ওয়াইদুর রহমান ব্যাঙ্কে যান। ব্যাঙ্কে ঢুকেই ম্যানেজারকে হুমকি দিতে শুরু করেন। ব্যাঙ্কেরই এক কর্মী তা মোবাইল বন্দি করছিলেন। সেই সময় তৃণমূল নেতা তথা হরহরিপুর পঞ্চায়েতের সদস্যার স্বামী ওয়াইদুল রহমান ওই ব্যাঙ্ক কর্মীকে মারধর করতে শুরু করেন। বারুইপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
যদিও অ্যাকাউন্ট খুলতে এসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ও কর্মীদের হেনস্থা ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা।
ওই ঘটনার যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে,সেখানে দেখা গিয়েছে, যে হুমকি, গালিগালাজ, মারধর , কিছুই বাদ পড়েনি। যদিও ওই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
অভিযোগ, অ্যাকাউন্ট খুলতে এসে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের খাসমল্লিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ঢুকে এভাবেই ম্যানেজার ও কর্মীদের হেনস্থা করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। ভাইরাল ভিডিওয় যে ব্যক্তিকে ব্যাঙ্কে চড়াও হতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর নাম ওয়াইদুর রহমান।পাশেই দাঁড়িয় তাঁর স্ত্রী।ওয়াইদুরের স্ত্রী হরিহরপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্যা।আর স্বামী এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত।
পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে চালু হবে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প। তার আগে, অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ব্যাঙ্কে লম্বা লাইন হচ্ছে। অভিযোগ, এই অবস্থায় অ্যাকাউন্ট খুলতে এসে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ও কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যাবহার করেন তৃণমূল নেতা। হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি, ব্যাঙ্কের এক কর্মীকে মারধরও করা হয় বলেও অভিযোগ।
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ওয়াইদুর রহমানের দাবি, মারধরের ঘটনা হয়নি, বাকবিতন্ডা হয়েছে, মিটিয়ে নিয়েছি...ম্যানেজার অ্যাকাউন্ট খুলতে চান না বলেই ঝামেলা।
শাসকদলের নেতা ব্যাঙ্কে ঢুকে দাদাগিরি করছেন। ভাইরাল ভিডিওয় সেই ছবি সামনে আসায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। উল্টোদিকে এই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। তাদের কটাক্ষ এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি।
রবিবার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও, পুলিশ এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।সোমবার বারুইপুরে আসেন ব্যাঙ্কের অফিসারদের সংগঠনের সদস্যরা। থানায় গিয়ে তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন। পরে, বারুইপুর পুরসভার প্রশাসকের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা।