টোকিও: টোকিও প্যারালিম্পিক্সে ফের সোনা ভারতের।পুরুষদের জ্যাভলিনে এফ-৬৪ ইভেন্টে সোনা জিতলেন সুমিত আন্টিল। ৬৮ দশমিক ৫৫ মিটার ছুড়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ে প্যারালিম্পিক্সে সোনা জিতলেন সুমিত। এই নিয়ে প্যারালিম্পিক্সে দ্বিতীয় সোনা জয় ভারতের। সোনা জয়ের পর সুমিতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী। ট্যুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাহুল গাঁধীও।


ফাইনালের মঞ্চে সুমিত চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স মেলে ধরেছে। ফাইনালে তিনটি বিশ্বরেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন তিনি। প্রথম থ্রো-তে ৬৬.৯৫ মিটার জ্যাভলিন ছুঁড়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ে কার্যত সোনাজয় নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন তিনি। দ্বিতীয়বার ছোড়ার সময় নিজের সদ্য তৈরি বিশ্বরেকর্ডকেই আরও একটু উন্নীত করেন তিনি। আর তৃতীয়বার ছোড়ার সময় ৬৮.৫৫ মিটার জ্যাভলিন ছুড়ে নতুন বিশ্বরেকর্ড তৈরি করে সোনা জেতেন সুমিত।


এবারের প্যারালিম্পিক্সে ভারতের সর্বকালীন সেরা পারফরমেন্স। টোকিয়োতে ঝড় তুলছেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। সুমিতের সোনার সুবাদে এই নিয়ে এবারের প্যারালিম্পিক্সে সাতটি পদক এল ভারতের ঝুলিতে। সোমবার প্যারালিম্পিক্সে প্রথম ভারতীয় শ্যুটার হিসেবে সোনা জিতে ইতিহাস গড়েন অবনী লেখারা। মহিলা শুটিংয়ে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ফাইনালে ২৪৯.৬ স্কোর করে বিশ্বরেকর্ড করেন অবনী। ইউক্রেনের ইরিনা শেটনিকের সঙ্গে যুগ্মভাবে এই বিশ্বরেকর্ড। যোগ্যতা অর্জন পর্বে সাত নম্বরে শেষ করেছিলেন। তারপর দুরন্ত কামব্যাক করে ফাইনালে বাজিমাত অবনীর।


এদিন সকাল থেকে একের পর এক পদক আসতে থাকে ভারতের ঝুলিতে। জ্যাভলিনে রুপো জেতেন পদক দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া ও সুন্দর সিংহ জেতেন ব্রোঞ্জ। এথেন্স, রিওর পর এবার ফের একবার টোকিওতে জ্যাভলিনে ইতিহাস গড়ে পদক জিতলেন দেবেন্দ্র। টোকিও প্যারালিম্পিক্সে  রুপো জিতেছেন এফ ৪৬ বিভাগে। সেই একই বিভাগে সুন্দর সিংহ ব্রোঞ্জ জিতেছেন। ডিসকাসেও উজ্জ্বল ভারত। এফ ৫৬ বিভাগে ডিসকাস থ্রো-এ রুপো জিতলেন যোগেশ কাথুনিয়া। এর আগে প্যারালিম্পিক্সে রবিবার তিনটে পদক জিতেছিল ভারত। টেবিল টেনিসে রুপো জিতেছিলেন ভাবিনাবেন প্যাটেল। পুরুষদের হাইজাম্পে টি ৪৭ বিভাগে ২.০৬ মিটার লাফিয়ে রুপো জিতে নিয়েছেন নিশাদ। সেই সঙ্গে গড়ে ফেলেছেন এশীয় রেকর্ডও। 


এদিন পুরুষদের ডিসকাস থ্রোয়ে এফ ৫২ ইভেন্টে ১৯.৯১ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে ব্রোঞ্জ জিতলেও তা হাতছাড়া হয় ভারতের বিনোদ কুমারের। কারণ, বিনোদের শারীরিক প্রতিবন্ধকতার ধরন নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রতিপক্ষ অ্যাথলিটরা। পরে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, সবদিক খতিয়ে দেখে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যথেষ্ট না থাকায় ডিসকোয়ালিফাই করা হচ্ছে বিনোদকে। যার জেরে পদকও হাতছাড়া হয় ভারতের।