শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র (Firearms) সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) ক্যানিং (Canning) থানার ভলেয়া গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার (Arrest) করা হয় ইসরাফিল লস্করকে। ধৃতের কাছ থেকে একটা আগ্নেয়াস্ত্র ও দুটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে সে অস্ত্র মজুত রেখেছে বলে পুলিশের দাবি। সম্প্রতি এলাকায় পুলিশি ধরপাকড় বেশি হওয়ার কারণে এই আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করার জন্য চেষ্টা করছিল ইসরাফিল লস্কর। শুক্রবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে ক্যানিং থানার পুলিশ খবর পেয়ে হাটপুকুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভলেয়া খাল পাড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আদালতে তোলা হচ্ছে শনিবার।
কয়লা খনি এলাকায় উদ্ধার
কিছুদিন আগেই, পাণ্ডবেশ্বরের কয়লা খনি এলাকা থেকে উদ্ধার AK 47-এর মতো ৫টি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও ৮ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছিল। গ্রেফতার করা হয়েছিল মৃত কয়লা মাফিয়ার দেহরক্ষীকে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ধৃতের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ।
দেখতে অনেকটা ঠিক, AK 47-এর মতো। অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রর পাশাপাশি, উদ্ধার ৮ রাউন্ড কার্তুজ। পাণ্ডবেশ্বরের কয়লা খনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫টি অত্যাধুনিক অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ।
আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির আগেই পুলিশের জালে, মৃত কয়লা মাফিয়ার দেহরক্ষী। পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেদিন রাতে রামনগরে সুনীল পাসোয়ান ওরফে শোলে পাসোয়ানের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় AK 47, কার্বাইনের মতো আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ।
গ্রেফতারের পর উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য! পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত সুনীল একসময় কয়লা ও বালি মাফিয়া নুর আলমের দেহরক্ষী ছিল। ২০১৯ সালে ওই মাফিয়ার মৃত্যুর পর গা ঢাকা দেয় সুনীল। পুলিশ সূত্রে খবর, এর আগে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ একবার গ্রেফতারও হয় সুনীল। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা যুক্ত? ধৃত সুনীলকে হেফাজতে নিয়ে জানতে চায় পুলিশ।
মালদায় বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল
এর আগে মালদায় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছিল। গত জুলাই মাসেই মানিকচক থানার গোপালপুর এলাকায় চারটি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক জনকে গ্রেফতার করা হয়।