রঞ্জিত হালদার, বারুইপুর (দক্ষিণ ২৪ পরগনা): বারুইপুরের বেগমপুরে প্রোমোটারকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় এক মহিলা-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও ২ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, প্রোমোটারকে গণপিটুনির ঘটনায় ধৃত তিনজনের মুখ্য ভূমিকা ছিল। আরও অনেকে জড়িত। তাদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা নাগাদ গড়িয়া ঢালাই ব্রিজের কাছে প্রেমিকা প্রিয়ঙ্কা সরকারের সঙ্গে দেখা করেন প্রোমোটার অভীক মুখোপাধ্যায়। এরপর বাইকে চড়ে মালঞ্চ হয়ে তাঁরা যান বারুইপুরের দুশো কলোনি এলাকায়। সেখানেই ছাগল চোর সন্দেহে অভীককে পিটিয়ে মারে উত্তেজিত জনতা। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। 


গতকাল প্রিয়ঙ্কাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে এক মহিলা-সহ পাঁচ গ্রামবাসীকে আটক করে বারুইপুর থানার পুলিশ। চোর সন্দেহে গণপিটুনিতেই মৃত্যু প্রোমোটারের, এখনও পর্যন্ত এমনটাই মনে করছে পুলিশ। 


উল্লেখ্য, চোর সন্দেহে কলকাতার প্রোমোটারকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুরের (bariupur) বেগমপুর এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার মাঝরাতে বান্ধবীকে নিয়ে বাইকে চড়ে এখানে ঘুরতে আসেন অভীক মুখোপাধ্যায় নামে বছর পঁয়ত্রিশের ওই প্রোমোটার (promoter)। অভিযোগ, চোর সন্দেহে তাঁকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে শুরু হয় গণপিটুনি। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই প্রোমোটারকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃত প্রোমোটার কলকাতার নেতাজিনগরের বাসিন্দা। খুনের নেপথ্যে প্রোমোটিং সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


অভীকের বন্ধুদের অভিযোগ পরিকল্পনা করে তাঁকে খুন করা হয়েছে। তরুনীর মায়ের অভিযোগ তাঁর মেয়ে সাইকো পেসেন্ট। সে প্রায়ই রাতের বেলা বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বার হত। গতকাল রাতে সে বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বার হয়েছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ।


উল্লেখ্য, গতকাল সকাল ৭টা নাগাদ ভয়ঙ্কর এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। সরিষাহাটে বাজারের মধ্যে এক ব্যক্তির উপর চড়াও হয় চার দুষ্কৃতীর একটি দল। ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ওই ব্যক্তিকে খুন করে তারা। এর পর  ঘটনাস্থল থেকে পালাতে গেলে দুষ্কৃতীদের মধ্যে এক জন স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েন। সেখানে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় তাঁর।


২ দিন আগেই, প্রকাশ্য দিনের আলোয় খুনের ঘটনা ঘটে গিয়েছিল ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) সরিষাহাটে। সেখানে ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন (Hacked to Death)করা হয় এক ব্যক্তিকে। পালানোর সময় দুষ্কৃতীদের মধ্যে এক জনকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। গণপিটুনিতে (Mob Lynched) মৃত্যু হয় তাঁরও। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা পুলিশের।