শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ঝরখালী-সুন্দরবনের জঙ্গলে মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের (tigare) আক্রমণে আহত এক মৎসজীবী (fisherman)। সপ্তাহ খানেক এক ঝরখালী ২নং  থেকে তিন মৎসজীবী মাছ,কাঁকড়া ধরতে যায়। গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ সুন্দরবনের (sundarban) ছাইমারীর জঙ্গলের কাছে একটি বাঘ মিহির সর্দারের উপর আক্রমণ করলে তাঁর সঙ্গে থাকা অপর দুই সঙ্গী লাঠি নিয়ে বাঘের সাথে লড়াই করে উদ্ধার করে আশঙ্কা জনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।


২ দিন আগেই কুলতলিতে অবশেষে ধরা পড়েছিল বাঘ। ধানখেতে লুকিয়ে ছিল সেই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার! এই আতঙ্কে ঘুম উড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (south 24 pargana) মৈপীঠ থানা এলাকার গ্রামবাসীদের। বাঘ (tiger) ধরতে পাতা হয়েছিল খাঁচা। ঘুম পাড়ানি বন্দুক নিয়ে তৈরি বন কর্মীরা। 


সাতসকালে একঝলক দেখা দিয়েই ভ্যানিশ! নিমেষেই পাকা ধানের খেতে মিশে গিয়েছিল হলুদ-ডোরাকাটা শরীরটা! যার জেরে আতঙ্কে সিঁটিয়ে ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৈপীঠ থানা এলাকার ভুবনেশ্বরী গ্রামের বাসিন্দারা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মঙ্গলবার সকালে চাষের কাজে গিয়ে ধান খেতের মধ্যে বাঘ দেখতে পান ২ জন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বন দফতর ও স্থানীয় থানায়। 


বাঘের হানা থেকে গ্রামবাসীদের বাঁচাতে জাল দিয়ে ধান খেত ঘিরে দেন বনকর্মীরা। বাঘ ধরার জন্য পাতা হয়েছে খাঁচা। আচমকা ধান খেত থেকে বেরিয়ে বাঘ যাতে কারোর উপর হামলা করতে না পারে, তার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ঘুম পাড়ানি বন্দুক। কিন্তু, ধান খেত থেকে বেরিয়ে যদি অন্য কোথাও লুকিয়ে থাকে বাঘ? আতঙ্ক কাটছিল না গ্রামবাসীদের। 


উল্লেখ্য, সুন্দরবনে বাঘের সঠিক সংখ্যা কত তা জানতে আরও একবার সুন্দরবনের জঙ্গলে ক্যামেরা বসাতে চলেছে বন দফতর। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প ও ২৪ পরগণা বনবিভাগ দুই জায়গাতেই ক্যামেরা ট্রাপিং এর মাধ্যমে এই ‘টাইগার এস্টিমেশান’ এর কাজ করবে বন দফতর।