উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দুই ২৪ পরগনায় লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে উত্তর (North 24 Pargana) ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Pargana) করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের দুটি বিশেষ দল গঠন করল স্বাস্থ্য দফতর (Swasthya Bhawan)। প্রতিটি দলে ৪ জন করে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট থাকবেন। উত্তর ২৪ পরগনার দলটি প্রস্তুত থাকবে বিধাননগর হাসপাতালে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার দলটিকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে প্রস্তুত থাকবে।
রাজ্যে বেলাগাম সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে দুই ২৪ পরগনাতেও বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গতকাল প্রকাশিত স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী উত্তর ২৪ পরগনায় শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন ৩,১১৮ জন। মৃত্যু হয়েছিল ৩ জনের। গতকাল সেখানে করোনার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ছিল ৮,৬৬৪।
পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ওই সময় পর্বে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭০৪ জন। সরকারি হিসেবে করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ২ জনের। এ দিন সেখানে করোনায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ২,৪১৯ জন।
গতকালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত বেড়ে ১৮ হাজার পার করেছে। উদ্বেগ বাড়িয়ে শেষ ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত ১৮ হাজার ২১৩ জন। মঙ্গলবারের চেয়ে রাজ্যে ২ হাজার ৭৯২জন বেশি সংক্রমিত। কলকাতায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ৭ হাজার ৪৮৪ জন ,৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, আরজি কর হাসপাতালে ৫১জন চিকিৎসকের করোনা আক্রান্তের খবর জানা গিয়েছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লক্ষ ১১ হাজার ৯৫৭। করোনা থেকে মুক্তি পেয়ে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৯১২। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা কোপে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। রাজ্যে মোট মৃত্যু সংখ্যা ১৯ হাজার ৮৬৪। অ্যাক্টিভ কেস- ৫১ হাজার ৩৮৪। রাজ্যে পজিটিভ রেট ২৬.৩৪ শতাংশ।
মাত্র সাত মাসের ব্যবধান! দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ফের ১ লক্ষ পেরিয়ে গেল! উদ্বেগ বাড়িয়ে ৩ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে ওমিক্রন। সূত্রের খবর, রাজ্যে যত নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং হয়েছে, তার ৭০ শতাংশই ওমিক্রন। এদিকে, সংক্রমণের দাপটে কলকাতার একাধিক হাসপাতালে নন এমার্জেন্সি সার্জারি বন্ধ করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ বইছে দেশজুড়ে!
বাঁধভাঙা স্রোতের মতো ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। ৭ মাস পরে দেশে দৈনিক সংক্রমণ ফের ১ লক্ষের চূড়া পেরলো। বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার দৈনিক সংক্রমণ বাড়ল ৩০ শতাংশ! মাত্র ১০ দিনে, ৯ হাজার থেকে দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে ১ লক্ষের হার্ডল পেরিয়ে গেল! অর্থাৎ ১০ দিনে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির হার প্রায় হাজার গুণ!