রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়ায় অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠল কাকা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। পরে গর্ভস্থ ভ্রূণের মৃত্যু হয়। ঘটনায় মহিলার কাকা, কাকিমা ও খুড়তুতো ভাইকে গ্রেফতার করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ।


সম্পত্তির লোভের কাছে কি তুচ্ছ রক্তের সম্পর্কও? দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের মর্মান্তিক ঘটনা ফের সেই প্রশ্ন তুলে দিল। স্থানীয় সূত্রে খবর,পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। সেই আক্রোশে অন্তঃসত্ত্বা ভাইঝির পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠল কাকা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। 


পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত সন্তান প্রসব করেন মহিলা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুক্রবার, বড় ভাইয়ের বাড়িতে চড়াও হয়ে প্রথমে ভাঙচুর চালান কাকা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। 
ঘটনার প্রতিবাদ করেন ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ভাইঝি। অভিযোগ, এরপর তাঁর পেটে লাথি মারেন কাকা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। 


গুরুতর জখম অবস্থায় মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত সন্তানের প্রসব করেন তিনি। কাশীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন অভিযোগকারী মণিরুল মল্লিক। মহিলার কাকা, কাকিমা ও খুড়তুতো ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলা রুজু করা হয়েছে ভ্রূণহত্যা, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায়।


সম্প্রতি অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু ঘিরে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ধুন্ধুমার। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলল পরিবার। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতাল সূত্রে দাবি, অস্ত্রোপচারের আগে মহিলার শরীরে করোনা ধরা পড়ে। তারপরই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় অন্তঃসত্ত্বার।


ঘরে আসবে নতুন অতিথি, সুখবরের আশায় হাসপাতালে এসে মিলল দুঃসংবাদ! রবিবার বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে তুলকালাম। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাল পরিবারের সদস্যরা। মৃতের নাম, সাধনা মণ্ডল (২৬)। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শনিবার সকালে বনগাঁর বাসিন্দা অন্তঃসত্ত্বা সাধনা মণ্ডলকে ভর্তি করে পরিবার। ভর্তির পর কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়লে প্রসূতির অবস্থার অবনতি হয়। রবিবার ভোররাতে মৃত্যু হয় তাঁর।



প্রসূতির মৃত্যুতে হাসপাতালের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয় হাসপাতাল চত্বরে। যদিও গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরিবারের কোনও অভিযোগ থাকলে লিখিতভাবে জানালে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের সুপার।