দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ে আজ হচ্ছে না আরাবুলের (Arabul Islam) 'শান্তি মিছিল'। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশেই প্রত্যাহার করা হয়েছে মিছিলের সিদ্ধান্ত। এমনটাই জানালেন ভাঙড়ের (Bhangar) তৃণমূল নেতা (TMC Leader) আরাবুল ইসলাম। ভাঙড়ে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি করা যাবে না আগেই জানায় পুলিশ। যদিও পুলিশের নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন আরাবুল।


ঠিক কী হয়েছিল: সম্প্রতি ISF-তৃণমূল (TMC) সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ভাঙড়ে (Bhangat) । ঘটনায় আহত হয় ২ পক্ষের বেশ কয়েকজন। গত শুক্রবার রাতে দলের পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে অশান্তির সূত্রপাত হয়। তৃণমূলের অভিযোগ তাঁদের উদ্দেশ্য়ে কটূক্তি করে ISF কর্মীরা। পাল্টা ISF-এর দাবি, তাঁরা দলীয় পতাকা লাগাতে গেলে, মারধর করে তৃণমূল। দুপক্ষের মধ্যে ব্য়াপক ইটবৃষ্টি হয়। ইটের আঘাতে মাথা ফাটে এক তৃণমূল কর্মীর। ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।


এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ৪৬: উল্লেখ্য  ভাঙড়ে তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষের ঘটনায় প্রথমে ৪৩ জনকে গ্রেফতার করে লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। ধৃতদের লালবাজারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও ভাইরাল হওয়া ফুটেজ দেখে ৪৩ জনকে চিহ্নিত করা হয়। অশান্তি, ভাঙচুর সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে ধৃত আইএসএফ কর্মীর বিরুদ্ধে। গতকাল ISF-তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। পুলিশের সামনেই ব্যাপক সংঘর্ষে জড়ায় দুই দল! ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি, এমনকি গুলি চলার অভিযোগও উঠেছে। ঘটনায় আহত হয়েছে একাধিক আইএসএফ ও তৃণমূল কর্মী। তৃণমূলের পার্টি অফিসের পাশাপাশি ভাঙচুর হয়েছে ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির গাড়িতেও।  অন্যদিকে ধর্মতলায় আইএসএফ-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধের ঘটনায় বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি সহ গ্রেফতার ১৯। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ ১৪টি ধারায় মামলা কলকাতা পুলিশের।


এর পর তৃণমূল আইএসএফ সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ২ আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করে লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে, গতকাল রাতে, কাশীপুর থেকে শেখ ফিরোজ নামে ১ আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ ভোরে লেদার কমপ্লেক্স থানা থেকে আরেক আইএসএফ কর্মী গ্রেফতার হয়। এই নিয়ে, ভাঙড়কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে মোট ৪৬ জন ISF কর্মী-সমর্থককে।  


ভাঙড়ে বোমা উদ্ধার: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভাঙড়ে ফের উদ্ধার হয় বোমা। গত রবিবার সকালে গাজিপুরে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের বাড়ির কাছে একটি ব্যাগ ও একটি বস্তা ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার হয়।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কাশীপুর থানার পুলিশ। ঘটনায় ৩ আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কী উদ্দেশ্যে এই বোমা মজুত রেখেছিল? খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গতকালই ভাঙড়ে তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে সংঘর্ষে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে।