রণজিৎ হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রাক্তন নৌসেনার দেহাংশ উদ্ধারকে ঘিরে রহস্য দানা বাঁধল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) মল্লিকপুরের একটি পুকুর থেকে মাথা ও বুক সহ দেহাংশ (Body Parts Recovered) উদ্ধার হয় গতকাল রাতে। তবে কোমর থেকে বাকি অংশের খোঁজ মেলেনি। পুলিশ সূত্রে খবর, মুখ মোড়া ছিল প্লাস্টিকে। মৃতের নাম উজ্জ্বল চক্রবর্তী, বয়স ৫৪। বাড়ি বারুইপুরে। গত ১৪ নভেম্বর বাড়ি থেকে বেরোনোর পর তাঁর আর খোঁজ মেলেনি। পরিবারের তরফে বারুইপুর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। পরিবারের দাবি, খুন করে দেহাংশ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তবে কী কারণে খুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ঠিক কী হয়েছিল: গত বৃহস্পতিবার রাতে বারুইপুর মল্লিকপুর রোডের (Mullickpur Road) ডিহি এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় উজ্জ্বল চক্রবর্তীর অর্ধেক দেহ। ঘটনার খবর পেয়ে বারুইপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করেছে। আজ, শুক্রবার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রের খবর, গত ১৪ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন উজ্জ্বল। আগে নৌ সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকলেও বর্তমানে তিনি একটি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। সেখান থেকে প্রতিদিন বাড়ি ফিরে সন্ধেতে আবারও বেরিয়ে যেতেন। নেশার অভিযোগও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। পরিবার সূত্রে খবর, গত ১৪ই নভেম্বর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আর ফেরেননি। পরিবারের সদস্যরা বারুইপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেন। পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে প্রতিবেশি একটি পরিবারের সঙ্গে কিছুদিন আগে অশান্তি হয়েছিল ব্যক্তির।
কনস্টেবলের দেহ উদ্ধার: এর আগেও একাধিক দেহ উদ্ধারের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। চলতি মাসেই বেলুড় পুলিশ ফাঁড়ি থেকে রহস্যজনকভাবে উদ্ধার হয়েছিল এক কনস্টেবলের মৃতদেহ (Constable Mysterios Death)। বেলুর ফাঁড়িতে চলছিল থানা সংস্কারের কাজ। সকালবেলা মজুররা কাজ করতে এসে দেখেন গেট ভেতর থেকে বন্ধ। তাঁরা খবর দেয় থানায়। থানা থেকে অফিসাররা এসে কনস্টেবল দেহ উদ্ধার করে। এরপর ঘটনার তদন্ত শুরু করে বেলুড় থানার পুলিশ (Belur Police Station)।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই দমদম থানা এলাকা থেকে তরুণীর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসে পৌঁছয় দমদম থানা ও ব্যারাকপুর কমিশনারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। দমদম থানার অন্তর্গত নলতা কালীবাড়ি রোডে, খালের পাশ থেকে এক তরুণীর পচাগলা কঙ্কালসার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, দুই তিন আগে কেউ তরুণীকে মেরে ফেলে রেখে যায়। মহিলার মৃতদেহের ওপর বালির বস্তাও চাপা দিয়ে রাখা হয়। ব্যারাকপুর পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, পচাগলা অর্ধেক কঙ্কালসার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এখন তদন্ত চলবে বলেই জানা গিয়েছে।