কলকাতা: মহেশতলার সম্প্রীতি উড়ালপুলে (Flyover Accident) মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বজবজে বিয়েবাড়ি যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় হল তিন জনের। জানা গিয়েছে এদিন বাসের ধাক্কায় ৩ বাইক আরোহীরই মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন ১ জন। দুর্ঘটনায় মৃত তিনজন একই পরিবারের বলে সূত্রের খবর। বাবা-মা ও ছোট ছেলের মৃত্যু। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতরা সবাই একবালপুরের বাসিন্দা। 


এর আগে পথ দুর্ঘটনায় আহত হন তিন যুবক।  ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে বড়বাগান (barabagan) হয়ে সিউড়ি (siuri) আসার রাস্তায় দুর্ঘটনার (accident) কবলে পড়েন তিনজন যুবক। এই তিনজন যুবক একটি মোটর বাইকে (motor byke) চেপে সিউড়ির দিকে আসছিলেন। গাড়ির গতিবেগ বেশি থাকায় তাঁরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে (electric poll) ধাক্কা মারে। তারপর তাঁরা ছিটকে পড়েন এদিক ওদিক। ঘটনাটি ঘটে আনুমানিক রাত্রি ২.৩০ নাগাদ। এরপর তড়িঘড়ি বিষয়টি জানতে পেরে সিউড়ি থানার পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। পুলিশ সূত্রে জানা যায়  এই তিন যুবক মদ্যপ অবস্থায় বাইক চালাচ্ছিলেন,তাদের মাথায় কোনো হেলমেট ছিল না। 


কিছুদিন আগেই রাজ্যের রাজ্যের তিন জেলায় একসঙ্গে চারটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। মৃত ২। আহত ৩।  দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের মাতলা সেতুতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক মাছ ব্যবসায়ীর। মৃতের নাম প্রফুল্ল রাউত। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ক্যানিংয়ের  আড়ত থেকে মাছ কিনে বাইকে চড়ে বাসন্তীর হাড়ভাঙায় যাচ্ছিলেন ওই ব্যবসায়ী। মাতলা নদীর সেতুর ওপর কোনও গাড়ির ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।


এদিকে, মালদার গাজোলের মশালদিঘি এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা লরির পিছনে ধাক্কা মারে আরেকটি লরি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত লরির মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকায় গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে চালককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণে দুর্ঘটনা কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ।