হিন্দোল দে, সুকান্ত দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নদীপথে জলদস্যুর হামলা! নৌকা সমেত যাত্রীদের অপহরণ! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঝড়খালির জঙ্গল থেকে যাত্রী সহ নৌকা উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। সাক্ষাৎ যেন মৃত্যুমুখ থেকে ফেরা। ঝড়খালির জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে নদীপথে বের করে আনা হয় তিন ব্যক্তিকে। বাঘের জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছিল যে জলদস্যুরা, সেই ডেরা থেকেই পুলিশের তৎপরতায় নিরাপদে বেরোতে পারলেন ৩ নৌযাত্রী। ভয়ঙ্কর অভিযোগ দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে।
নদীপথে হানাদার:
২৩ হাজার ইট বোঝাই একটি নৌকাকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। অপহৃত ৩ যাত্রীকে ব্যাপক মারধর করা হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় সুন্দরবনের জঙ্গলে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার মাতলা নদীর জলপথ ধরে বসিরহাট থেকে রওনা হয়েছিল ২৩ হাজার ইটবোঝাই একটি নৌকা। গন্তব্য ছিল মৈপীঠ। কুলতলির জলসীমায় ঢোকার পর, রাত হয়ে যাওয়ার কারণে কুলিপাড়া টেঁক এলাকায় নৌকা নোঙর করেছিলেন ৩ যাত্রী। অভিযোগ, তখনই হামলা চালায় একদল জলদস্যু। ব্যাপক মারধর করা হয় যাত্রীদের। তারপর যাত্রী সমেত গোটা নৌকাই অপহরণ করে নেয় তারা। উদ্ধার হওয়া নৌযাত্রী হান্নান মণ্ডল বলেন, 'জলদস্যুরা এসে আমাদের মারধর করে। সব নিয়ে চলে যায়।' কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে সোমবার সকালে কুলতলি থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন নৌকার মালিক।
থানায় অভিযোগকারী কাশেদ আলি মণ্ডল বলেন, 'আমি অনেকক্ষণ ধরে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। তারপরে সোমবার থানায় এসে অভিযোগ জানাই।' অভিযোগ পাওয়ার পরেই কুলতলি থানা, মৈপীঠ কোস্টাল থানা ও বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ তল্লাশি শুরু করে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঝড়খালির জঙ্গল থেকে নৌকার নিখোঁজ ৩ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁরা প্রত্যেকেই বসিরহাটের বাসিন্দা।
গ্রেফতার দুই:
এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দুজনেই কুলতলির পূর্ব
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে বর্ষণ চললেও দক্ষিণবঙ্গে এখনই নেই গরম থেকে স্বস্তি