গৌতম মণ্ডল ও সমীরণ পাল, ফলতা: ভাড়াবাড়ি ছাড়তে 'চাপ', রাজি না হওয়ায় ফলতায় (Falta) শাসক-রোষে শিক্ষক দম্পতি। শিক্ষক দম্পতিকে মারধর, প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। প্রাণভয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আত্মগোপন, দাবি শিক্ষক দম্পতির। এরকম কোনও অভিযোগের বিষয়ে জানা নেই, দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।
তোলা না পেয়ে বাড়ি দখলের জন্য তৃণমূল (TMC) নেতার দাদাগিরি। ভাড়াবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য শিক্ষক দম্পতিকে মারধরের পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আতঙ্কে ভাড়াবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আত্মগোপন করেছেন দম্পতি। দ্বারস্থ হয়েছেন পুলিশের। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস তৃণমূল নেতৃত্বের।
ভাড়াটিয়াকে সরিয়ে বাড়ি দখল করার চক্রান্ত তৃণমূল নেতার! ভাড়াবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য শিক্ষক দম্পতিকে মারধর, প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে! এই অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন দম্পতি ও বাড়ির মালিক। আতঙ্কে ভাড়াবাড়ি ছেকে গোপন আস্তানায় আশ্রয় নিয়েছেন শিক্ষক দম্পতি।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা থানার দোস্তিপুর এলাকায়। ফলতার চালুয়াড়ির বাসিন্দা তুহিনশুভ্র মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী সারিকা পেশায় শিক্ষক। চার বছর ধরে দোস্তিপুর মোড়ে অসীম হালদার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়ায় রয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দশ মাসের পুত্র সন্তান রয়েছে। বাড়ির মালিক কর্মসূত্রে কেরলে থাকায় তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মায়ের দেখাশোনা করেন ভাড়াটিয়া দম্পতিই।
ঠিক কী অভিযোগ? কিছুদিন ধরে ওই শিক্ষক দম্পতিকে ভাড়াবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছিলেন ফতেপুর অঞ্চল তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী আশিস মণ্ডল। যেতে না চাওয়ায় দলবল নিয়ে হামলা চালান তৃণমূল নেতা। মারধর করা হয় দম্পতিকে। অভিযোগ, দেওয়া হয় প্রাণনাশের হুমকি।
আক্রান্ত শিক্ষিকা সারিকা মণ্ডলের কথায়, মারধরের সময় শিশু কোলে ছিল। তার কান্না শুনে ছুটে যাই। স্বামীকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও মারধর করে। প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
ঘটনার খবর পেয়ে কেরল থেকে আসেন বাড়ির মালিক। তাঁর দাবি, ৩ লক্ষ টাকা তোলা না পেয়ে বাড়ি দখলের চেষ্টায় এই হামলা। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এই ঘটনা তৃণমূলের সংস্কৃতি নয়, দাবি করে তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। মঙ্গলবার বাড়ির মালিকের সঙ্গে ফলতা থানার দ্বারস্থ হন শিক্ষক দম্পতি। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।